আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। রোববার নাইজেরিয়ার সন্দেহভাজন ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম প্রতিবেশী দেশ ক্যামেরুনের দুটি গ্রামে হামলা চালিয়ে ৫০ জনের বেশি মানুষকে অপহরণ করেছে। এদের অধিকাংশই শিশু। হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে খুন হয়েছেন চার গ্রামবাসী। স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
দীর্ঘদিন ধরে নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর এবং গ্রামগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে বোকো হারাম। তারা এখন প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। যদিও ক্যামেরুনে বোকো হারামের এটিই প্রথম হামলা। জিহাদিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ক্যামেরুনকে সহায়তা করার জন্য ইতিমধ্যে সেনা পাঠিয়েছে চাঁদ।
স্থানীয় এক নিরাপত্তা সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, নাইজেরিয়া সীমান্ত থেকে প্রায় চার মাইল দূরে ক্যামেরুনের মাকি এবং মাদা গ্রামে গ্রামলা চালায় জঙ্গিরা।
সন্দেহভাজন জঙ্গিরা রোববার ভোরে ওই হামলা চালায় এবং অন্ধকার থাকতে থাকতেই তারা বন্দিদের নিয়ে নাইজেরিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে যায়। তবে তারা কতজনকে পণবন্দি করেছে তা নিয়ে মতপার্থক্য আছে।
ক্যামেরুনের তথ্যমন্ত্রী ইসসা তহিরোমা বাকরি জানিয়েছেন, ঠিক কতজনকে ওরা তুলে নিয়ে গেছে তার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কষ্টকর। তার মতে ৩০ থেকে ৫০ জনকে পণবন্দি করা হয়েছে। এছাড়া তারা কমপক্ষে ৮০টি বাড়িতে আগুন দিয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সবমিলিয়ে ৬০ জনকে ধরে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
অন্যদিকে রয়টার্সে এ সংখ্যা ৮০ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, এসব পণবন্দির ৩০ জন বয়স্ক এবং বাকিদের বয়স ১০ থেকে ১৫য়ের মধ্যে। এ ঘটনার পর ক্যামেরুনের উত্তরাঞ্চলে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের এপ্রিল মাসে নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চিবুক এলাকার এক স্কুল থেকে ২শতাধিক কিশোরীকে অপহরণ করেছিল বোকো হারাম। এ ঘটনায় গোটা বিশ্ব জুড়ে নিন্দা এবং ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল।