দেবজিত চক্রবর্তী, আগরতলা, ২২ জানুয়ারী ।। রাজা প্রজার সম্পর্কের অবসানে উত্তর পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ী দুহিতা ত্রিপুরার ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইতিহাস সর্বজন বিদিত। ২১শে জানুয়ারী এমন একটা দিন যেখানে স্মৃতির পাতা উল্টে সেই আদি ইতিহাস রোমাঞ্চনের পর্বে উঠে আসছে উত্তোরনের পথে ত্রিপুরার পরিক্রমায় রাজন্য শাসন, গনতন্ত্রের আবাহন, গণদেবতার জীবন চিত্র থেকে বর্তমানের প্রেক্ষাপট।
ভারতবর্ষে স্বাধীনতা প্রাপ্তির শেষে ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী সংবিধান চালু হয়েছিল, প্রশাসনিক ভাবে সেই সময় বিভিন্ন রাজ্যকে ক, খ, গ, ঘ চার শ্রেনীতে ভাগ করা হয়। ত্রিপুরা সেই সময় ‘গ’ শ্রেনীর রাজ্য হিসেবে গণ্য হয়। ধীরে ধীরে গনতন্ত্রের প্রাথমিক পর্বের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের সূচনায় ইলেক্ট্রোরেল কলেজ, উপদেষ্টা মন্ডলী গঠিত হয়।
সংসদীয় ব্যবস্থার ধারাবাহিকতায় ১৯৫৭ সালে ত্রিপুরা ইউনিয়ন টেরিটোরি ঘোষিত হয়, ১৯৬৩ সালে বিধানসভা গঠিত হয়। গনতন্ত্রে গণদেবতার সর্বব্যাপী স্বপ্নপূরনের দিন ১৯৭২ সালের ২১শে জানুয়ারী – যেদিন পাহাড় থেকে সমতলে প্রতিধ্বনিত হয়েছিল পূর্ণরাজ্যের আনন্দবার্তা। পূর্ণরাজ্য প্রাপ্তির দিবসটিকে স্মরনে রেখে রাজ্যে পালিত হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান, ২১শে জানুয়ারী ত্রিপুরার পূর্ণরাজ্যের স্বপ্নপূরন করেছিল – আপামোর রাজ্যবাসীর জীবনের পূর্ণতা অপূর্ণতার হিসেব সর্বাগ্রে করা হোক এই পূর্ণতার পূর্ণ দিবসে।