আপডেট প্রতিনিধি, বক্সনগর, ২৯ আগষ্ট || ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন, এই মধুর সম্পর্কটিও কখনো কখনো সম্পদ, অর্থ, খ্যাতি ও প্রতিপত্তির কাছে হার মেনে নেয়।
ঠিক এমনিই একটি ঘটনা ঘটেছে সোনামুড়া মহকুমার বক্সনগর আর ডি ব্লকের অন্তর্গত আনন্দপুর গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনসুর আলী (৩৪) পিতা মৃত চেরাগ আলী ও তার ভাইদের মধ্যে।
জানা যায়, মৃত চেরাগ আলীর ১৩ কানির বেশি জমি রয়েছে। কিন্তু এই জমির যথাযোগ্য পর্যাপ্ত প্রাপ্প জমি মনসুর আলীকে ভোগ করার জন্য দিচ্ছে না তারই আপন বড় ভাই সুন্দর আলী ওসত্তর আলী। জানা যায়, সুন্দর আলীর এবং তার ছেলে ভাই ভাতিজা সবাই এই ১৩ কানি জমি প্রায় বিশ পঁচিশ বছর ধরে একাই ভোগ করছে। কিন্তু হতভাগা ছোট ভাই এলাকার মেম্বার, প্রধান থেকে শুরু করে এলাকার জনগণকে জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জানানোর পরও আজ পর্যন্ত কেউ এই জায়গার সঠিক সমাধান বের করে দিতে পারেনি বলে অভিযোগ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মনসুর আলীর একটি জুত জমি ছিল। এই জমিতে দীর্ঘদিন ধরে মনছুর আলী এখানে একটি ঘর বানিয়ে চাষাবাদ করে আসছে। এই জমিতে সামান্য কিছু সবজি চাষ করে কোনমতে দিনযাপন করছেন মনছুর আলী। শনিবার মনসুর আলীর এই ঘরটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় তারই আপন বড় ভাই এবং ভাতিজারা।
এই ঘটনার পর কমলনগর বাজারে মনসুর আলী তার বড় ভাই সুন্দর আলী এবং সত্তর আলীর কাছে জানতে চায় কেন তার বাড়িঘর এমনকি সবজি বাগান নষ্ট করে দেয়। এনিয়ে ঘটে যত বিপত্তি। কমলনগর বাজারে বড় ভাইকে জিজ্ঞেস করতে যাওয়াতে তার ওপর হামলে পড়ে। দা লাঠি দিয়ে তাকে প্রচণ্ড মারধোর করে তার ভাই এবং ভাতিজারা বলে অভিযোগ। তখন তার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে কমলনগর হাসপাতলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার ভাই ভাতিজারা তাকে কমল নগর হাসপাতাল নিয়ে যেতে দেয়নি। তখন থাকে কমলনগর থেকে বক্সনগর হাসপাতলে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয় এতে তার পায়ে ৮টি সেলাই লাগে। এ নিয়ে গোটা এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।