আপডেট প্রতিনিধি, বক্সনগর, ১৫ সেপ্টেম্বর || সোনামুড়া থানার লকাপে মৃত্যু হল এক অভিযুক্তের। তার নাম জামাল হোসেন, বয়স ৩৫। বাবা মৃত আলী আশ্শব। বাড়ি সোনামুড়া থানাধীন বলার ডেপা এলাকায়। ঘটনা বুধবার সকাল আনুমানিক ৯ টায়। তার বিরুদ্ধে ২০০৯ এবং ২০১৬ এ দুটি মামলা ছিল। ডাকাতি, NDPS যথাক্রমে বিশালগড় থানা এবং আগরতলা পশ্চিম থানায়। দীর্ঘদিন যাবত পলাতক ছিল মৃত জামাল। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বের হয়। পুলিশ সূত্রে খবর মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১টার নাগাদ বলারডেপা এলাকায় তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরিবারের অভিযোগ তাকে তার বাড়িতে প্রচন্ড মারদোর করে পুলিশ। জামাল হোসেবকে থানায় আনার পর শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর তাকে পুনরায় থানায় আনা হয়।
এরপর বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃত ব্যক্তিকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় জিবি হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের পরই বেড়িয়ে আসবে আসল রহস্য। তবে মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকেদের অভিযোগ তাকে থানায় এনে হত্যা করা হয়েছে। এর পেছনে গভীর রহস্য রয়েছে বলে মনে করছেন আত্মীয় পরিজনরা। জানা যায়, কাজের সুবাদে বিগত প্রায় চার বছর ধরে বিদেশে ছিল মৃত জামাল। গত কয়েক মাস পূর্বে সে বাড়িতে আসে। আগামী ২২শে সেপ্টেম্বর তার পুনরায় বিদেশে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আর বিদেশে যাওয়া হল না। জামাল হোসেনে পরিবারের তার দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার ছেলে অভিযোগ করে যে, তার বাবাকে তার সামনে প্রচন্ড মারদোর করেন পুলিশ। জামালের স্ত্রী অভিযোগ করেন যে, তার স্বামী যদি কোন ভুল করে থাকেন তাহলে গ্রামের প্রধান ও মেম্বার আছে তাদেরকে ডেকে আনার জন্য বার বার তিনি পুলিশের কাছে কাকতি মিনতি করেন। পুলিশ বাবুরা কারোর কথা শুনতে চায়নি। বুধবার সকালে জামাল হোসেনর পরিবার যখন সকালে থানাতে তাকে দেখতে যান তখন পুলিশ তাদেরকে দেখা করতে দেয়নি বলেও অভিযোগ। তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে থানা থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ। তবে এই ঘটনার সত্যতা উন্মোচন করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন মৃত্যার পরিবার পরিজনেরা সহ গোটা এলাকার জনগন ও সুব বুদ্ধি সম্পন মানুষ।