সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ২১ নভেম্বর ||
আসন্ন পুর পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা রাজ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচার তুঙ্গে রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত রয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলই বিনা লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। বুধবার রাত্রি নাগাদ তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের ১৩ এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ তৈরি হয়। এর ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের ১৩ নং এবং ১৪নং ওয়ার্ড। এই সংঘর্ষের ফলে এক প্রকার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়, এর ফলে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি দলের উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এই হামলার ফলে আহত হয় কমিক কর্মী-সমর্থকরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার গভীর রাতে এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসকের পক্ষ থেকে ১৪৪ নং ধারা জারি করা হয় ওই এলাকাগুলোতে।
এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ তেলিয়ামুড়া অম্পি চৌমূহনী এলাকায় তেলিয়ামুড়া বিজেপি যুব মোর্চার পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। উনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের প্রভারি তথা সাংসদ বিনোদ সুনকর, খোয়াই জেলা বিজেপি সভাপতি পিনাকি দাস চৌধুরী, বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসর সমালোচনায় মুখর ছিলেন। তার পাশাপাশি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং আগামী দিনে সকল বিজেপি কার্যকর্তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এসব প্রতিরোধ করার জন্য আহব্বান রাখেন। তৎসঙ্গে আগামী পৌর পরিষদ নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান রাখেন। এই সভায় কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।