আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। জর্ডান তাদের বিমান বাহিনীর পাইলট মোয়াজ আল-কাসাসবাহ হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
জীবিত কাসাসবাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার একটি ভিডিও মঙ্গলবার প্রকাশ করে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এর কয়েক ঘণ্টা পর ওই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে এই ঘোষণা দেন জর্ডানের কর্মকর্তারা। এরপরও ভিডিওটি আসল কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
জর্ডানে বন্দি আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট এক নারীর বিনিময়ে কাসাসবাহকে মুক্তির সময়সীমা দিয়েছিল আইএস জিহাদিরা। কিন্তু জর্ডান তা নাকচ করে দেওয়ায় ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায় আইএস।
জর্ডানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মামদুহ আল-আমরি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাইলটের বিনিময়ে যে অভিযুক্ত জিহাদি নারীকে তারা (আইএস) মুক্ত করতে চেয়েছিল, তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।’
আইএসের ওপর হামলা চালানের সময় গত ডিসেম্বরে কাসাসবাহের বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর তাকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার আমরি বলেন, ‘কাসাসবাহ শহীদের মর্যাদা পেয়েছেন। তার রক্ত বৃথা যেতে দেব না আমরা। জর্ডানি হারানো প্রতিশোধ ও শাস্তি হবে ভয়াবহ। সেনাবাহিনী তার হত্যাকাণ্ডে দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
জর্ডানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, কাসাসবাহকে প্রায় এক মাস আগে হত্যা করা হয়েছে। আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সাজিদা আল-রিশাউকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ার পর পরই কাসাসবাহকে হত্যা করে আইএস।
আর কাসাসবাহ হত্যার প্রতিশোধ নিতে জর্ডানের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আল-রিশাউসহ তিন জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে শিগগিরই। এর জন্য প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে জর্ডান সরকার।
এদিকে, জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ কাসাসবাহকে শহীদের মর্যাদা দিয়ে বলেছেন, দেশকে রক্ষায় তিনি নিহত হয়েছেন। জাতি তাকে সারা জীবন স্মরণে রাখবেন।
অন্যদিকে, এ হত্যার প্রতিবাদে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে হাজারো লোক বিক্ষোভ করেছেন। তাদের দাবি, জর্ডান আইএসের সঙ্গে যুদ্ধে না জড়ালে কাসাসবাহের এই করুণ মৃত্যু হতো না।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা ওই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। তারা ওই হত্যাকাণ্ডকে বর্বর ও শয়তানের কর্ম হিসেবে উল্লেখ করেন।
তথ্যসূত্র : বিবিসি।