দেবজিত চক্রবর্তী, আগরতলা, ১০ ফেব্রুয়ারী ।। যাঁরা মানুষের তরে জীবন দানকেই পাথেয় করে ইতি টানেন তাঁদের প্রয়াণের শেষেই বলা হয় যে প্রাণ ছিল তব কাছে সবচাইতে মূল্যবান মানুষের তবে সেই প্রাণ দান করে গেলে অকাতরে, অবলীলায়। প্রয়াত অনিল সরকারের নতুন করে পরিচিতির প্রয়োজন নেই – মন্ত্রিত্ব থেকে শুরু করে দলীয় পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে গেছেন প্রয়াত অনিল সরকার। অসম্ভব দক্ষতা ছিল ভাষার উপর – মঞ্চের ভাষনে সুললিত
ভাষার বিন্যাসে আপন শৈলীতে হাততালি কুড়োতেন যে মানুষটা সেই হাতেই ফুল আর অশ্রুসজল চোখে শেষ শ্রদ্ধার লম্বা লাইনের প্রমান রাজনীতির গন্ডি ছাড়িয়ে বহু মানুষের হৃদয়ে ঠাই করে নিয়েছিলেন প্রয়াত অনিল সরকার।
প্রয়াত অনিল সরকারের মরদেহ বাহী শকট বিভিন্ন স্থান হয়ে পৌঁছে যায় মেলারমাঠের সদর কার্যালয়ের সামনে, যেখানে অসংখ্য দলীয়
সমর্থক সাধারন মানুষ আগে থেকেই ভীড় জমিয়েছিলেন – কেউ শেষ দেখার আশায় আবার অনেকেই পুস্পস্তবকে শ্রদ্ধা অর্পণ করেন। মেলারমাঠ প্রয়াকের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের স্থানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, CPI(M)-র রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর, এ ডি সি’র CEM ডঃ রণজিৎ দেববর্মা, মেয়র ডঃ প্রফুল্লজিৎ সিনহা সহ আরো অনেক বিশিষ্ট মানুষ, উপস্থিত ছিলেন সি পি আই, ফরোয়ার্ড ব্লক, আর এস পি’র নেতৃবৃন্দ। মেলারমাঠে প্রয়াত অনিল সরকারের মরদেহকে দলীয় পতাকায় আচ্ছাদিত করা হয়। ৭৬টি লাল নিশান অর্ধনমিত অবস্থায় রেখে শোকমিছিল শুরু হয়।