আগরতলা বইমেলা – নিয়ে আসে বসন্তের আনন্দ বার্তা

book1দেবজিত চক্রবর্তী, আগরতলা, ১৩ ফেব্রুয়ারী ।। বিদগ্ধ জনেরা অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বই আর মানুষের সম্পর্ক নিয়ে আজকাল বলেন – বিশ্বায়নের যুগে বই থেকে বইমেলাকে বাঁচাতে পন্ডিত থেকে পাঠক সবাইকে ভাবতে হবে, ডট কমের যুগে প্রযন্ম ঝুঁকছে মাউস, কম্পিউটার, ল্যাপটপে – পাতা উল্টে দেখার ঝামেলা নেই – এক ক্লিকেই ঘরে বসে বিশ্ব দর্শন।
বই আর মানুষের দূরত্ব নিয়ে চলতি বিচার বিশ্লেষনের বাস্তবতার মধ্যেই যাত্রা শুরু হল বহু কাঙ্ক্ষিত বসন্তের আবহে আগরতলা বইমেলা। মলাট বদ্ধ বইয়ের পাতায় পাতায় চলমান বিশ্ব পর্ব থেকে শুরু করে সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, ভূ-প্রকৃতি সহ হাজারো বিষয় আত্মস্থ করে বিস্মিত হবে পাঠককূল এতে কোনো রকম দ্বিমত নেই। বই হচ্ছে মানুষের এমন বন্ধু যে যুগে যুগে দিয়েই যাচ্ছে প্রতিদানে চায়নি কিছু। ব্যক্তি থেকে সমষ্ঠি হয়ে একটা ঘুমন্ত জাতিসত্ত্বাকে জাগিয়ে তোলার অসীম ক্ষমতা রয়েছে বইয়ের, তেমনি মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে যায় বই – অন্তরে সুপ্ত বাসনা নিয়েই আবার শুরু হচ্ছে আগরতলা বইমেলা।
যুগের সঙ্গে চলতে গিয়ে মলাটে আধুনিকতা আর বিষয়ে নতুনত্ব সময়ের প্রয়োজনে করতে হচ্ছে। দিনে দিনে আগরতলা বইমেলার পরিধি বিস্তৃতির সঙ্গে বেড়েছে পরিজন – অকৃপণ বন্ধুত্বের টানে এবারেও হাজির ভিন্ন দেশ আর ভিন্ন রাজ্যের বইয়ের ব্যবসায়ী, প্রকাশক সংস্থা, সাহিত্যিকরা। বসন্তের আগরতলা বইমেলা নিঃসন্দেহে রাজ্যের সাহিত্যের অঙ্গনে নতুন ধারার সৃষ্টি করেছে তাই নয় প্রকাশনা আর সাহিত্য সৃষ্টির নব প্রজন্মের সুপ্ত প্রতিভাকে প্রতিভাত করার আলোকবর্তিকা নয়ে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
book4শুক্রবার, আগরতলা বইমেলার উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। আগরতলা বইমেলার আয়োজন, রাজ্যের সাহিত্য অঙ্গন, প্রয়াস ও প্রয়োজনীয়তা থেকে শুরু করে সময়ের সঙ্গে লেখনীর বিষয় বস্তু ও বাস্তব নির্ভর হওয়া বাঞ্চনীয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন মূখ্যমন্ত্রী।
আগরতলা বইমেলা ৩৩ বছর টগ বগে যৌবনের প্রতিচ্ছবি – স্টলে স্টলে বই, উমাকান্ত প্রাঙ্গনে মানুষের ভীড়ে – কারো কাছে দাদা, কেউ ডাকতেন স্যার, বন্ধুরা নাম সম্বোধনে – মুড়ে থাকলে শোনা যেত সাবলীল ছন্দের দু’চার লাইন কবিতা – সেই মানুষটা আর কোনোদিন আসবেন না বই মেলায়। যাঁরা প্রথম শুনবেন তিনি নেই অজান্তেই হৃদয় হয়ে উঠবে ভারাক্রান্ত। পড়বে বিয়োগের দীর্ঘ শ্বাস – তিনি হচ্ছেন পরলোকে পাড়ি দেয়া প্রয়াত অনিল সরকার . . . . . . . . .

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*