আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। বিয়ের স্বাদ মিটে গেল বর-কনের। বাদ যায়নি মধ্যস্থতাকারীও (ঘটক)। বিয়ের সময় কনের নাম ভুলে গিয়েছিলেন বর। তাতে সন্দেহ ঘনীভূত হয়, তদন্ত হয়। শেষ পর্যন্ত বর-কনের ঠিকানা হয় শ্রীঘরে।
তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ভুয়া বিয়ের অনুষ্ঠান সাজানোর পরিকল্পনার অভিযাগে ব্রিটেনের একটি আদালত ৩ জনকিই ১৭ ও ২০ মাস মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন। ব্রিটেনে স্থায়ী হওয়ার বাসনা নিয়ে মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজানো হয়েছিল।
এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।
বিয়ের অনুষ্ঠানের কিছুক্ষণ আগে ভুয়া বর ২৮ বছর বয়সী জুবাইর খান বিয়ের মধ্যস্থতাকারী খালিক দাদ খানকে (৪৮) নিবন্ধনের জন্য ফোন করে কনের নাম জানতে চেয়েছিলেন।
বিয়ের মুহূর্তে কনের নাম জেনে নেয়ার বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখেন নিবন্ধক। সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি তিনি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তদেন্তর পর হাল রেজিস্টার অফিস থেকে হবু দম্পতিকে আটক করা হয়। ব্রিটেনে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার কৌশল হিসেবে মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করেছেন পাকিস্তানি নাগরিক জুবাইর।
শিক্ষার্থী হিসেবে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি এ ফন্দি আঁটেন। জুবাইরকে ২০ ও হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভূত ভুয়া কনেকে ১৭ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
অবশ্য অভিবাসন আইনের সুবিধা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন উভয়েই। লন্ডনের বাসিন্দা বিয়ের মধ্যস্থতাকারী খালিক দাদ খানকে একই অভিযোগে ২০ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।