বিশ্বেশ্বর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ০৯ ডিসেম্বর || কুশারঘাট এলাকায় গোশালায় গবাদীপশুরা অযত্নে অবহেলায় ভুগছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শান্তিরবাজার মহকুমার অন্তর্গত লতুয়াটিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে কুশারঘাট এলাকায় একটি গোশালা নির্মান করা হয়েছে। বি এস এফ ৯৬ ব্যাটেলিয়ানের জোওয়ানরা সীমান্ত এলাকা থেকে গরু পাচার করার সময় যে সকল গরু আটক করে সেগুলি এই গোশালায় নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে এই গোশালায় প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ এর অধিক গরু ও বাছুর রয়েছে। এই গোশালা পরিচালনার জন্য একটি এন জি ও দায়িত্ব নিয়েছে বলে জানা যায়। এই গোশালার জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন সহয়তা আসার পরেও গোশালার দায়িত্বে থাকা লোকজনেরা সঠিকভাবে গবাদী পশুদের খাবার দেয় না বলে অভিযোগ। গোশালায় গরুরা শুধু খাবার থেকে বঞ্চিত এমন নয়, পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত। এই গোশালায় জলের উৎস্য বিকল হয়ে পরায় বিগত তিনদিন যাবৎ গরুদের পানীয় জল দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। খাদ্যের অভাবে ও সঠিকভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য প্রতিনিয়ত গবাদীপশু মারা যাচ্ছে। এই নিয়ে এন জি ও এর কোনো প্রকার হেলদোল নেই বলেও অভিযোগ। গোশালায় এই ধরনের চরম অব্যবস্থাপনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় শান্তিরবাজার মহকুমা শাসক অভেদানন্দ বৈদ্য। তিনি গোশালা গিয়ে গশোলায় থাকা গবাদিপশুর বিভিন্ন দিকগুলো পরিদর্শন করেন। মহকুমা শাসক গোশালার দায়িত্বে থাকা ইনচার্জকে গোশালার পরিকাঠামোর দিক সম্পর্কে ও কিভাবে গোশালা পরিচালনা করা হচ্ছে তা জানতে চাইলে ইনচার্জ সঠিকভাবে কোনো প্রকার সৎউত্তর দিতে পারেন নি। এলাকার লোকগুঞ্জনে শোনা যায়, গোশালায় গবাদিপশু লালন পালনের জন্য যে সকল অর্থ আসছে তা নয় ছয় করার জন্য গবাদীপশুরা সঠিকভাবে খাবার ও স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছে না। শুক্রবার এই গোশালা পরিদর্শন শেষে শান্তিরবাজার মহকুমা শাসক অভেদানন্দ বৈদ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান, তিনি এই বিষয়ে আইনিভাবে পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।