নতুন দিল্লি: নারী নিরাপত্তা ও নারীর ক্ষমতায়ন শুধু রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়। এই দায়িত্ব দেশের প্রত্যেক নাগরিকের। এর জন্য সচেতনতা দরকার পারিবারিক স্তরেই। লালকেল্লার ভাষণে স্পষ্ট করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। অভিভাবকদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, শুধু মেয়েদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ নয়। ছেলেরাও যাতে মেয়েদের সম্মান জানায় সেই শিক্ষা দিতে হবে।
দিল্লি-মুম্বই-কামদুনি। সাম্প্রতিক অতীতে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। তৈরি হয়েছে এক অদ্ভূত নিরাপত্তা হীনতার বাতাবরণ। স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেও পড়ল তার প্রভাব। তবে অন্যরকম পরামর্শ দিলেন তিনি।
বৃদ্ধ বাবামায়ের দেখাশোনা থেকে কমনওয়েলথ গেমস,অলিম্পিকে পদক জয়। মেয়েদের সাফল্যের নজির ভুরিভুরি। তবু, এখনও পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার হতে হয়ে মেয়েদের। বন্ধ হয়নি কন্যাভ্রুণ হত্যাও। সেকারণে সমাজের সর্বস্তরে নারীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
পনেরোই অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সমস্ত প্রচলিত রীতিনীতি নস্যাত্ করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। রাখঢাক না করে সরাসরি আঙুল তুলেছেন সমাজের একেবারে তৃণমূল স্তরের এক বাস্তব সমস্যার দিকে।
সমস্যাগুলিকে সামনে রেখেই সমাধানের উপায় বাতলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, নারীর নিরাপত্তা আর ক্ষমতায়ন শুধু রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়। এই সচেতনতা বাড়াতে হবে পারিবারিক স্তর থেকেই।