শাসক দল সহ বিরোধী দলগুলির প্রচার সজ্জা লন্ডভন্ড

সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ০৫ ফেব্রুয়ারী || বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এবার তেলিয়ামুড়ায় শাসক দলের দলীয় প্রচার সজ্জা নষ্ট সহ কংগ্রেস-সিপিআই(এম) জোটের প্রচারসজ্জা নষ্টের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনা শুক্রবার রাতের কোন এক সময় ২৮-তেলিয়ামুড়া বিধানসভা এলাকায়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শাসক দল বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকেরা বিভিন্নভাবে প্রচারাভিযান চালাচ্ছে। এরই অঙ্গ হিসেবে তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের হাওয়াই বাড়ি এলাকার ২৫ ও ২৭নং বুথে বিজেপি দলের দলীয় পতাকা, ফ্যাস্টুন দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল গোটা এলাকা। কিন্তু শুক্রবার রাতের কোন এক সময় কে বা কাহারা শাসক দল বিজেপি’র প্রায় দুইশত দলীয় পতাকা উপরে ফেলে দেয় ও ২৮-তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কল্যাণী সাহা রায়ের ফ্যাস্টুন উপরে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে ঘটনাটি শনিবার সকালে বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকরা প্রত্যক্ষ করে।
অন্যদিকে, তেলিয়ামুড়া থানাধিন মোহরছড়া, কৃষ্ণপুর, হাওয়াই বাড়ি এলাকায় শনিবার সকালে কংগ্রেস-সিপিআই(এম) জোটের প্রচার-সজ্জা রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে জোটের নেতৃত্বরা ছুটে যান। দেখা যায় রাস্তার পাশে, জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়ে আছে পতাকাগুলি। সেই সঙ্গে হাওয়াই বাড়ি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রচার সজ্জা নষ্ঠ করার অভিযোগও উঠেছে।
খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গুলি পরিদর্শন করেন তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ২৮-তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের হাওয়াই বাড়ি এলাকার বিজেপি কর্মী রঞ্জিত দাস সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগ করেন, কে বা কাহারা রাতের অন্ধকারে এই কাজ সংগঠিত করেছে।
অন্যদিকে এ বিষয়ে বলতে গিয়ে সিপিআই(এম) দলের নেতৃত্ব সুবীর সেন জানান, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি দল তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে রাতের আঁধারে এভাবে সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস দলের জোট প্রার্থীর সমর্থনে করা প্রচার সজ্জা নষ্ঠ করছে। তিনি আরও জানান, এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
যদিও এভাবে প্রচার সজ্জা নষ্টের ঘটনায় নির্বাচনের পূর্বে রাজনৈতিক উত্তাপ যে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। তবে যাই হোক বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এ ধরনের ঘটনায় এলাকার শান্তিপ্রিয় পরিবেশ বিঘ্ন ঘটানোর জন্যই যে মূলত এরকম কাজ করা হচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*