সাবরুম, ১৮ মার্চ ।। ঐতিহ্যবাহি বারুণী স্নানোত্সবকে ঘিরে বুধবার রামগড় সাবরুম সীমান্তের ফেনী নদী পরিণত হয় বাংলাদেশ – ভারত দু’দেশের নাগরিকদের মিলন মেলায়। উভয় দেশের হাজার হাজার পুণ্যার্থী ও দর্শণার্থীর সমাগমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মুখরিত থাকে ফেনী নদী।
বৃটিশ আমল থেকেই চৈত্রের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশি তিথিতে প্রতিবছর ফেনী নদীতে বারুণী স্নানে মিলিত হন দুই দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। তারা পূর্ব পুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য তর্পণ করেন এখানে।
রামগড় ও সাবরুম অংশে নদীর দুই তীরে দুই দেশের পৌরহিতরা সকালেই বসেন পূজা অর্চণার জন্য। পূর্ব পুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা ছাড়াও নিজের পুণ্যলাভ ও সকল প্রকার পাপ, পংকিলতা থেকে মুক্ত হওয়ার উদ্দেশ্যে ফেনী নদীর বারুণী স্নানে ছুটে আসেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
সকাল ৭টা থেকেই শুরু হয় বারুণী স্নানোত্সব। স্নান কিংবা পূজা ছাড়াও দুই দেশে অবস্থানকারি আত্মীয়- স্বজনদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করার জন্যও অনেকে দূর দূরান্ত থেকে এখানে ছুটে আসেন।
ঐতিহ্যবাহি এ বারুণী মেলা উপলক্ষে বহুকাল থেকেই এদিনে দুদেশের সীমান্ত অঘোষিতভাবে কিছু সময়ের জন্য উন্মুক্ত থাকার সুবাদে এপার বাংলার মানুষ ছুটে যায় ওপারের সাবরুম মহকুমা শহরে , আবার ওপারের লোক এসে ঘুরে যান রামগড়। এ মেলাকে ঘিরে দুদেশের মানুষের মধ্যে তৈরি হয় ভ্রাতৃত্ব ও সমপ্রীতির মেল বন্ধন। বারুণী মেলায় শুধু বাঙালি হিন্দু সমপ্রদায়ের অংশগ্রহণ নয়, ত্রিপুরা, মারমা, চাকমা, মুসলিম সমপ্রদায়ের মানুষেরও সমাগম ঘটে।
সৌজন্যে – ইত্তেফাক।