খেলাধুলা ডেস্ক ।। বিশ্বকাপে পরপর সাতটা ম্যাচ হেলায় জিতে সেমিফাইনালে উঠে গেল ভারত। মেলবোর্নে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে ১১০ রানে উড়িয়ে দিয়ে খেতাব থেকে আর মাত্র দুটো ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে ধোনি বাহিনী।
কোহলির আউটের পর কয়েকটা ওভার বাদ দিলে পুরো ম্যাচে সম্পূর্ণ আধিপত্য দেখিয়ে সহজ জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। ঠিক এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার সিডনিতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে ভারত। প্রতিপক্ষ কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ম্যাচের বিজয়ী দল।
এদিনের ম্যাচে দারুণ শতরান করলেন রোহিত শর্মা। এবারের বিশ্বকাপে সেভাবে রানের মধ্যে ছিলেন না, তাঁকে নিয়ে ফিসফিসও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এদিন মুম্বইকর প্রমাণ করলেন তিনি হলেন বড় মঞ্চের ক্রিকেটার। শুরুতে শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে দলকে ভাল জায়গায় নিয়ে যাওয়ার পর সঙ্কটের মধ্যে লড়াই চালিয়ে রোহিতের ১৩৭ রানটাই জয়-পরাজয়ের মাঝে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াল। রোহিতের ১২৬ বলে ১৩৭ রানের ইনিংসটা ছিল ১৪টা বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো। তবে এই অনবদ্য ইনিংসের সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হল সব রকম পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে শতরান। রোহিতের কাজটা সহজ করে দিল সুরেশ রায়নার ৫৭ বলে ৬৫ রানের ইনিংসটা।
৩০০ রান তাড়া করে এমসিজি-তে কেউ জেতেনি। অপ্রতিরোধ্য ভারতের সামনে বাংলাদেশ ৩০৩ রান তাড়া করে জিতবে সেটা হাতেগোনা কয়েকজন বিশ্বাস করেছিলেন। সেই বিশ্বাসটাও টলে গেল বাংলাদেশের ১০০ রান ওঠার আগেই। তবে ভাগ্যের আরও একটু সহায়তা পেলে বাংলাদেশের রান ২২৫ ছাড়াতে পারত। তবে এই বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে ৩০৩ রান তাড়া করে জেতার জন্য যে অভিজ্ঞতা আর পরিকল্পনা লাগে তাঁর বিন্দুমাত্র দেখা যায়নি বাংলাদেশের।
চলতি বিশ্বকাপে দেখা গিয়েছে যতবার ভারত জিতেছে কিছু না কিছু রেকর্ড ভেঙেছে। আজও সেটা হল। ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপে টানা ১১টা ম্যাচ জেতা হয় গেল। ২০০৭ বিশ্বকাপে হারের ক্ষতে প্রলেপ লাগানো গেল। সবাইকে টপকে সামি সর্বোচ্চ উইকেট শিকার হয়ে গেল। কিন্তু এখন প্রশ্ন সিডনিতেও এই ভাঙাভাঙির খেলা খেলে শেষ ল্যাপে ওঠা যাবে তো! প্রশ্নটা এখন করলেও উত্তর দেওয়ার সময় নেই ভারতীয় সমর্থকদের। কারণ কাল অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ম্যাচের দিকেই সবাই তাকিয়ে। হিসাব উল্টে মিসবারা কাল জিতুন সেটাই চাইছেন ভারতীয় সমর্থকরা। ওয়ার্নার, ম্যাক্সওয়েল, জনসনদের চেয়ে আফ্রিদি, মিসবাদের বিরুদ্ধে মওকা মওকা’ বেশি থাকবে সেটা কেই বা না জানে। তবে কী ধোনিরা যেভাবে খেলছেন তাতে ‘মওকা মওকা’সবক্ষেত্রেই খেটে যাবে।