জাতীয় ডেস্ক ।। মমতা আর কেজরিওয়ালের এক হওয়ার সংবাদে ভারতের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল আগে থেকেই, এবার তার বাস্তবায়নটুকু দেখা যেতে পারে । শোনা যাচ্ছে আসছে এপ্রিল মাসেই তারা বৈঠকে মিলিত হবেন এবং একযোগে কাজ করার কিছু সাধারণ পাটাতন প্রতিষ্ঠা করবেন। তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কখন-কোথায়: মাস হিসেবে এপ্রিল ধার্য হলেও দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। এমনও শোনা যাচ্ছে, আলোচনার টেবিলে সরাসরি না বসে তারা দূরালাপনের বা ভিডিও-বৈঠকের মাধ্যমেই আলাপ সেরে নেবেন। আপাতত আলাপের বিষয়বস্তু নির্ধারণের মধ্যেই এ বিষয়ক অগ্রগতি সীমাবদ্ধ। ইতোমধ্যে ভূমি-অধিগ্রহণ বিল পাসের ব্যাপারে তাদের একাট্টা হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
কোন পক্ষ লাভবান হবে: মমতা ব্যানার্জি আর অরবিন্দ কেজরিওয়াল একীভূত হলে কোন পক্ষ বেশি সুবিধা পাবে তা এখনও বলার সময় না এলেও, আপাতত এটুকু বলা যাচ্ছে- ইন্ডিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে বিজেপিবিরোধী শক্তি এএপির সাহচর্য পেলে নীতিনির্ধারণী অনেক বিষয়ে সমর্থনের পাল্লাভারি হবে মমতার। আর অপরদিকে মমতার মতো গভীর জলের রাজনীতিবিদের সাহচর্য এএপির কাণ্ডারি অরবিন্দকেও হয়ত অনেক আধখেচড়া সিদ্ধান্তগ্রহণ থেকে বাঁচিয়ে দেবে।
মমতার ভবিষ্যত পরিকল্পনা: তৃণমূল মুখপাত্রডেরেক ও’ব্রায়েনের কথা থেকে জানা যায় পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বামপন্থী তৃণমূল আরও চারটি প্রদেশে নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়ানোর কথা ভাবছে। প্রদেশ চারটি হলো ত্রিপুরা, মনিপুর, আসাম এবং কেরালা। কেরালা ছাড়া বাকি তিনটি প্রদেশে বাংলা ভাষা কথ্য ও লেখ্য বিধায় এ তিনটি প্রদেশে তৃণমূল সবচেয়ে বেশি গণসংযোগ ঘটানোর আশা রাখে। এবং এই তিন স্থানে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তারা পেতে যাচ্ছে মার্কসপন্থী সিপিএমকে।
বিজেপির প্রার্থীতায় রদবদল : ভারতীয় জনতা পার্টি কলকাতায় নগরপাল নির্বাচনে প্রার্থীতায় রদবদল করেছে। চিত্রনায়িকা রূপা গাঙ্গুলীকে সরিয়ে, নিয়ে এসেছে আরেক অভিনয়শিল্পী শর্বরী মুখার্জিকে।