বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড, কান্নায় বিদায় নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা

sprখেলাধুলা ডেস্ক ।। ৯৯’ এর বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল। দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট করছেন বাঁ হাতি মারকুটে ব্যাটসম্যান লান্স ক্লুসনার। নন স্ট্রাইকে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন অ্যালেন ডোনাল্ড। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বল হাতে ওয়ার্নি। ৩ বলে দরকার ছিল মাত্র ১ রান। ম্যাচ জিতে ফাইনালে যায় স্টিভ ওয়ের দল। হেরে চোকার্স তকমা নিয়ে আফ্রিকা ফেরে হেনসি ক্রোনিয়েরা।
বিশ্বক্রিকেটে অবাক হলেও সেদিন থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকা না বলে যদি কাউকে ‘চোকার্স’ বলা হয়, ক্রিকেট প্রেমীরা প্রোটিয়াসদের কেই চিহ্নিত করবেন।
২০১৫ বিশ্বকাপে সেই ‘চোকার্স’ তকমার সার্থকতা ফিরিয়ে আনল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৩ ওভারে ২৯৮ রানের টার্গেট দিয়েও অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে হারল এবি ডিভিলিয়ার্সের দল। বৃষ্টিই কিছুটা হলেও সাপে বড় হল কিউদের। ব্যাটিংয়ে যখন সুপারম্যান এবি, বৃষ্টিতে থামাতে হল তাঁর ব্যাট। তা না হলে হয়ত আরও বড় রানের স্কোর করত দক্ষিণ আফ্রিকা।
বিশ্ব ক্রিকেটে বোলিংয়ে দাপট দেখাচ্ছিলেন যেই স্টেইন আজ সেই স্টেইনগান কার্যত ভোথা। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের চতুর্থ ওভার। বল হাতে ডেল স্টেইন। স্ট্রাইকে তখন কিউই ক্যাপ্টেন ম্যাককালাম। প্রথম বল ওভার বাউন্ডারি। তখনও বোঝা যাচ্ছিল না, লড়াইটা হবে একতরফা। পর পর চারের পর আবার ছয়। সেই ওভারে ডেল স্টেইন দিলেন ২৫ রান। ইতিহাসে স্টেইনের বুলেটের এরকম নৃশংস ফিডব্যাক কোনও ব্যাটসম্যান দিয়েছেন কিনা, তা ইউটিউব ঘেটেও পাওয়া দুষ্কর। তাহির, দুমিনি খেলায় ফেরায় প্রোটিয়াসদের। কিন্তু এটাই বোধহয় সেমি ফাইনালের চাপ। জন্টি রোডসের দল আফ্রিকা নিজেদের মধ্যে জড়িয়ে গিয়ে ক্যাচ মিস করল। এক বার নয়। দু’ দু বার। মিস রান উট। কথায় আছে ক্যাচ মিস, ম্যাচ মিস। হলও তাই। হারতে হল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ৪ উইকেটে ২০১৫ বিশ্বকাপের প্রথম, সেমি ফাইনালে জয় পেল নিউজিল্যান্ড। ডার্ক হর্সরা প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে।
৯৯’র বিশ্বকাপের ট্র্যাজেডি তাড়া করল ২০১৫ তেও। কান্নায় বিদায় নিলেন এবি ডিভিলিয়ার্স, মর্নি মরকেল, ডেভিড মিলাররা। কিউদের ঘায়ে মুড়ছে গেল গোটা আফ্রিকা। হারের ময়না তদন্তে শুধু উঠে এল, দক্ষিণ আফ্রিকা মানেই চোকার্স।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*