বিদ্ধস্ত বিমানের এক পাইলট তালাবন্দী ছিলেন

anআন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। ১৫০ আরোহী নিয়ে ফ্রান্সে বিধ্বস্ত জার্মানউইংসের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আর এর থেকে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ১৫০ আরোহী নিয়ে আল্পস পর্বতমালায় আছড়ে পড়ার আগে বিমানের এক পাইলট তালাবন্দী ছিলেন। বারবার চেষ্টা করেও ওই পাইলট ককপিটে থাকা অপর পাইলটের কাছে আর ফিরতে পারেননি।
নিউইয়র্ক টাইমসের সূত্রে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।

খবরে বলা হয়, বুধবার জার্মানউইংসের ককপিটের ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়। এরপর ওই রেকর্ডার থেকে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এই তদন্তে সম্পৃক্ত সেনাবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, বিমানটি উড্ডনের কিছুক্ষণ পরের সময়ে দুই পাইলটের মধ্যে ‘খুব স্বাচ্ছন্দে কিন্তু খুব ধীরে’ আলাপ হয়েছে।

অডিওচিত্র থেকে বোঝা যায়, কিছু সময় পরে এক পাইলট ককপিট থেকে বের হয়ে যান। কিন্তু পরে তিনি আর ককপিটে প্রবেশ করতে পারেননি।

তদন্ত চলমান বলে নাম না প্রকাশ করার শর্তে ওই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘বাইরে যিনি ছিলেন তিনি দরজায় হালকাভাবে কড়া নাড়ছেন। কিন্তু (ভেতর থেকে) কোনো সাড়া মিলল না। এরপর তিনি দরজায় জোরে ধাক্কা মারলেন। তবুও কোনো সাড়া পাওয়া গেল না। আর কোনো সাড়া মেলেইনি।’

মঙ্গলবার সকালে কেন বিমানটি আছড়ে পড়েছিল পাহাড়ের গায়ে, এ সম্পর্কে একটা চিত্রপট তুলে ধরছে ককপিটের এই অডিওচিত্র। সঙ্গে তৈরি করছে অনেকগুলো প্রশ্নও।

যেমন, কেন ওই পাইলট ককপিটের বাইরে গিয়েছিলেন? ওই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘কেন তিনি বাইরে গিয়েছিলেন—কারণটা এখনও আমরা জানতে পারিনি। তবে আমরা এটা নিশ্চিত যে, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে অপর পাইলট ককপিটে একাকী ছিলেন। এবং তিনি দরজা খুলেননি।’

বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বেশ ভালো গতিতেই যাত্রা করছিল। তদন্তদল মনে করছে, ইঞ্জিন বিস্ফোরণে এই দুর্ঘটনা ঘটেনি। তাহলে কী সেই কারণে এয়ারবাস এ ৩২০ বিধ্বস্ত হয়েছিল, যাতে প্রাণ গেল ফ্লাইটের সব আরোহীর? স্বচ্ছ উত্তর পেতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*