গোপাল সিং, খোয়াই, ১২ মে || খোয়াই পুলিশ প্রশাসন নেশা কারবারিদের নিয়ে নাটক মঞ্চস্ত করছে। আজ পর্যন্ত নেশা কারবারিদের বড়ো মাথা, মালিকগণ ধরা পরছেনা বা খোয়াই থানার পুলিশ ধরছেনা। ছোট ছোট যারা নেশা কারবারিরা মালিক এর টাকা দিতে পারছেনা বা দেয়না তাদের পাকড়াও করছে। মালিকরা বলে দিচ্ছে নেশা সামগ্রী কোথায় আছে। এতে চুনুপুটি মাছ ধরে কিছু কাছের মিডিয়া ডেকে প্রচার করে নিচ্ছে। অথচ আমবাসা, কামালপুর, মোহনপুর, সীমানার করিডোর হচ্ছে খোয়াই। কোটি কোটি টাকার নেশার মালামাল খোয়াইতেই মজুত থাকে বা যাতায়াতের রাস্তা হলো খোয়াই। কিন্তু খোয়াই পুলিশ ড্রাগস্ মাফিয়াদের আঙ্গুলি হেলনে এরকম নাটক মঞ্চস্ত করলো।
খোয়াই লালছড়া এলাকায় নেশা সামগ্রী, নগদ অর্থ সহ গ্রেফতার দুই নেশা কারবারী। নেশা বিরোধী অভিযানে একের পর সাফল্য খোয়াই পুলিশের।সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই খোয়াই থানার ওসি রাজকুমার জমাতিয়ার নেতৃত্বে গোটা খোয়াই থানা এলাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এতে সাফল্য মিলেছে। প্রতিদিন উদ্ধার হচ্ছে গাঁজা ব্রাউন সুগার সহ একাধিক নেশা সামগ্রী। নেশা কারবারিদের জালে তুলতেও সক্ষম হয়েছে খোয়াই থানার পুলিশ। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার ওসি রাজকুমার জমাতিয়া কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, খোয়াই থানার অন্তর্গত লালছড়া এলাকার দীপঙ্কর দাস এবং লিটন দাস বেশ কিছুদিন যাবত নেশা সামগ্রীর রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোয়াই থানার ওসির নেতৃত্বে রাজকুমার জমাতিয়ার নেতৃত্বে লালছড়া এলাকার দীপঙ্কর দাস এবং লিটন দাসের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাড়ি তল্লাশি করে নগদ কুড়ি হাজার নয়শো টাকা সহ ছয় গ্রাম ব্রাউনসুগার উদ্ধার করে। সাথে দুই নেশা কার বাড়ি লিটন দাস ও দীপঙ্কর দাসকে জালে তুলে পুলিশ। অন্যদিকে, এবিষয়ে রাজকুমার জমাতিয়া জানান, বিভিন্ন মারফত ওনার কাছে খবর আসে খোয়াই থানার অন্তর্গত বেশকিছু এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে নেশা সামগ্রীর ব্যবসা। ফলে দূরদূরান্ত থেকে পড়াশুনা করতে আসা ছাত্ররা অনেকই জড়িয়ে পড়ছে নেশা কাণ্ডে। এতে করে ছাত্র সহ যুব সমাজ একবারে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। আর এই ছাত্র সমাজ এবং যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখ থেকে বাঁচাতে এবং নেশা কারবারিদের লাগাম টানতে এই নেশা বিরোধী অভিযান চালিয়েছে এবং আগামীদিনেও এই ধরনের অভিযান চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ওসি রাজকুমার জমাতিয়া।