আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ মে || দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ ব্যবস্থা দেশের দরিদ্র অংশের মানুষদের জীবনে স্বস্তি নিয়ে এসেছে। সারা দেশ জুড়ে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা শুরু হওয়ার পর সুবিধাভোগীরা আগের থেকে প্রায় দ্বিগুণ রেশন পাচ্ছেন। রবিবার দুপুরে রাজধানী আগরতলার গোর্খাবস্তিস্থিত খাদ্য ও ভোক্তা ভবনের কনফারেন্স হল ঘরে আয়োজিত এক প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে উপস্থিত থেকে এই কথা বলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধূরী।
জানা যায়, আগামী ১৬ই মে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে অনুষ্ঠিতব্য একটি অনুষ্ঠানে ন্যায্য মূল্যের দোকানের মাধ্যমে মসলা জাতীয় সামগ্রী বিতরণের আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ সূচনা করবেন। এই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে রবিবার দুপুরে রাজধানীর গোর্খাবস্তিস্থিত খাদ্য ও ভোক্তা ভবনের কনফারেন্স হল ঘরে এই প্রস্তুতিমূলক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের বৈঠকে খাদ্য জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সঠিক গুণমান সম্পন্ন নতুন মসলা জাতীয় খাদ্য সামগ্রী গুলি কিভাবে ভোক্তাদের কাছে সঠিক পদ্ধতিতে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই বৈঠকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধূরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, অধিকর্তা নির্মল অধিকারী, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, খাদ্য জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা সহ অন্যান্য উপ-অধিকর্তা ও সারা রাজ্য থেকে আগত দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা।
এদিন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধূরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার মাধ্যমে দেশের দরিদ্র অংশের মানুষদের কাছে রেশন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও মার্গদর্শনে পরিচালিত রাজ্য সরকার রাজ্যের সাধারণ মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন ঘটিয়ে সহজ জীবনযাত্রার নতুন সংজ্ঞা তৈরির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার চাইছে গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে আরো নতুন নতুন খাদ্য সামগ্রী স্বল্প মূল্যে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে। খুব শীঘ্রই রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজ্যের খাদ্য ও জন সংভরণ দপ্তর নিত্যদিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের মসলা জাতীয় সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে।