সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ১৬ মে || গ্রীষ্ম কালের রসালো এবং সুস্বাদু ফল লিচু। ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের লিচুর সাথে পাল্লা দিতে পারে তেলিয়ামুড়া মহকুমার লিচু। স্বাদে অতুলনীয় বরাবরের মতই মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের অধীন গকুলনগর এডিসি ভিলেজের অন্তর্ভুক্ত কুঞ্জমুড়া লিচু বাগানের লিচু। প্রতি বছরই এই সময় মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই লিচু বাগানের লিচু খাওয়ার জন্য মানুষ আসেন। বন দপ্তরের অধিন এই বাগান হলেও প্রত্যেক বছর বাগানের লিচু টেন্ডারের মাধ্যমে এলাকার জনজাতি অংশের মানুষকে দেওয়া হয়, যাতে করে তারা এই লিচু বাজারে বিক্রি করে কিছু অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয় এবং এতে লাভের মুখও দেখতে পায় তারা।
কিন্তু এবছর ফলন মুটামুটি ভাল হলেও বাজারে বিক্রি করে তেমন ভাল উপার্জনে সক্ষম হতে পারছে না। কারন বাজারে অন্যান্য জায়গা থেকে যে লিচু আসে তার সাথে স্থানীয় লিচুর চাহিদা কম। এমনটাই জানাল জনজাতি লিচু বিক্রেতারা। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্রয়ের দামের থেকে অতি সামান্য লাভ মাত্র করতে পারছে। যদিও ১০০ টাকা করে ১০০টি লিচু বিক্রি করছেন উনারা। তবে সেই মূল্যটাও প্রাথমিক অবস্থায় থাকে। ধীরে ধীরে এর দাম কমতে থাকে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ফলন ভাল হলেও বাজারের স্থানীয় নিচুর চাহিদা তেমন না থাকায় এবছরে লিচু বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে আর সক্ষম হতে পারবেন কিনা এনিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তারা। কারন গাছের ফলন-পরিমানে ভাল হলেও গুনগত দিক দিয়ে যেমন আকারের হওয়ার কথা তেমনটা এবছর হয়নি ফলে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে বিক্রেতারা, এমনটাই জানান তারা। এর পর যদি ঋতুর ফসল বিক্রি করে দু-চার পয়সা কামাই না হয় তবে সংসারের প্রতিপালন করতেও বেগ পেতে হয়। কারন প্রতি বছর এই লিচু বাগানের লিচু বিক্রি করে এলাকার একটা বড় অংশের পরিবার অর্থ উপার্জনের আশায় থাকেন। অন্যদিকে তেলিয়ামুড়া শহরের এক লিচু বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, তেলিয়ামুড়া শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রাজ্যের অন্যান্য স্থানের লিচুই বেশি বিক্রি হচ্ছে। সভাবতই স্থানীয়রা এর ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এখন দপ্তর লিচু বিক্রয়ের ব্যাপারে যদি কোন উদ্যোগ গ্রহন করে তবে স্থানীয়রা উপকৃত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন বাগানের লিচু বিক্রেতারা।