মৎস্য চাষের নলেজ সেন্টার, হেচারী এবং জীন ব্যাঙ্কের নবনির্মিত ভবনের শুভসূচনা করলেন মন্ত্রী

বিশ্বেশর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ২০ মে || রাজ্য সরকারের আর্থিক সহযোগীতায় জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের মুহুরীপুর ফিসারী ফার্মে ১০ লক্ষ টাকা ব্যায় করে মৎস চাষের জন্য নলেজ সেন্টার, আই এম সি হেচারীর জন্য নতুন ভবন নির্মান করা হয়। অপরদিকে ২৭ লক্ষ ৯১ হাজার ৪২৪ টাকা ব্যায় করে লাইব্রেরি, জীন ব্যাঙ্কের নতুন ভবনের নির্মান করা হয়। রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর ২০১৮ সাল থেকে এই ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়। বর্তমান সময়ে নবনির্মিত ভবনের কাজ সমাপ্তি হবার পর শনিবার দপ্তরের মন্ত্রীর হাত ধরে নবনির্মিত ভবনের শুভ সূচনা করা হয়। এই নবনির্মিত ভবনের শুভ সূচনা করলেন মন্ত্রী সুধাশু দাস। উদ্ভোধকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জোলাইবাড়ীবাসীর জনপ্রীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া, মৎস্য দপ্তর ও প্রানীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের প্রিন্সিপল সেক্রেটারী বি এস মিশ্রা, দক্ষিন জেলাপরিষদের সভাধিপতি কাকলী দাস দত্ত, জেলাপরিষদের সহ সভাধিপতি বিভিষন চন্দ্র দাস, জোলাইবাড়ী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রবি নমঃ, শান্তিরবাজার মহকুমার অতিরিক্ত মহকুমাশাসক বিপুল দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবী অজয় রিয়াং সহ অন্যান্যরা। এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুধাংশু দাস রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসুচীর কথা জনসন্মুখে তুলে ধরেন। তারপাশাপাশি এই নলেজ সেন্টার থেকে লোকজনেরা কি কি পরিষেবা পেতে পারেন তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়। এখন থেকে লোকজনেরা মুহুরীপুর ফিসারী থেকে কিভাবে মৎস চাষ করা যায় ও মাছের রোগ প্রতিরোধে কি কি করনীয় প্রয়োজন তা নিয়ে প্রশিক্ষন পেতে পারবে। এতে করে শান্তিরবাজার মহকুমার লোকজনের পাশাপাশি সমগ্র দক্ষিন জেলার লোকজনেরা মৎস চাষে অনেকটা অগ্রসর হতে পারবে। মন্ত্রী সুধাংশু দাস জানান, তিনি মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম উৎপাদন বৃদ্ধী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। এই আলোচনাসভার মাধ্যমে রাজ্যের উন্নয়ন ও লোকজনের উন্নয়নের কথার পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যকে নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার বিশেষ আহব্বান জানালেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস। অপরদিকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের জনপ্রীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর কথা জনসন্মুখে তুলে ধরেন। তার পাশাপাশি এইদিনে জোলাইবাড়ী বিধানসভা উন্নয়নের দিক দিয়ে আরেকধাপ এগিয়ে গিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া। মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয় উদ্দ্যোগে এইকাজটি দ্রুততার সহিত সমাপ্তি হয়েছে এবং লোকজনের পরিষেবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়ার এইধরনের উদ্দ্যেোগের জন্য সকলে মন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজনদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করা যায়।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*