সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ২২ মে || প্রত্যন্ত এলাকার জুমিয়ারাও সমতলের বা গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের মত অন্নদাতা। জুম চাষ ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি এলাকার জনজাতি অংশের মানুষের উপার্জনের অন্যতম একটি মাধ্যম বলা চলে। কাজেই জুম চাষাবাদের ক্ষেত্রেও সরকারি সাহায্য সহায়তা প্রয়োজন। বৈশাখের শুরুতে আংশিক বৃষ্টিপাতের ছোঁয়া পেয়ে প্রত্যন্ত এলাকার জুমচাষের টিলাভূমি উর্বর হয়ে ওঠে। যদিও এবছর প্রকৃতি একটু বিমুখ। তার পরেও বৈশাখের শেষে অল্প বৃষ্টি হওয়ায় জুমের জন্য টিলা ভুমি অনেকটাই প্রস্তুত। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জুমিয়ারা টিলা ভূমিতে জুমের বিভিন্ন রকমের সবজি সহ ধান বীজ রোপন করতে ব্যস্ত। এমনই বাস্তব চিত্র প্রত্যক্ষ করা গেল মুঙ্গিয়াকামী আরডি ব্লকের অধীন বৈরাগী ঢেপা এলাকায়। এলাকায় গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল জনজাতি রমণী সহ জুমিয়ারা জুমের বিভিন্ন কৃষিজ ফসলের বীজ বপন করছে।
কথা প্রসঙ্গে জুমিয়া রমণী অন্য জানান, এবার তারা ধান, ঝিঙ্গে, মিষ্টি কুমোর সহ রকমারি সব্জীর বীজ বপন করছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই নিজেরা উদ্যোগী হয়েই এই জুম চাষ করছেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, এবার দুটি টিলা ভূমিতে জুম চাষ করবেন। তবে এই জুম চাষ করে লভ্যাংশের মুখ দেখা যায় জুমের কৃষিজ ফসল গুলি বাজারজাত করে। আশ্বিন কার্তিক মাসে এই ফসল ঘরে তোলার সময়। জুম চাষই তাদের একমাত্র রুটি-রুজির সম্বল। সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পেলে তারা এই জুম চাষকে আরো প্রসারিত করার উদ্যোগ নেবেন বলে ওই জুমিয়া রমণী আশা ব্যক্ত করেন। জুমিয়া রমণী জানালেন, এই জুমের ফসল তারা ঘরে তুলবেন আগামী বাংলা আশ্বিন মাসে।