সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ০১ জুন || কৃষ্ণপুর বিধানসভার গামাইবাড়ির ভৈরবটিলা এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের হেল্পারের অনুপস্থিতিতে টানা ২ বছর বিনা বেতনে কাজ করেছেন অনামিকা কপালী ভৌমিক। বুথ সভাপতি এবং গ্রাম প্রধান তাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন পরবর্তী সময় তাকেই সরকারিভাবে হেল্পার হিসাবে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু দেখা গেছে সেই চাকরি পেয়ে গেছেন রীনা মালাকার দাস। বৃহস্পতিবার রীনা দেবী কাজে যোগ দিতে আসলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দেন অনামিকা কপালী ভৌমিক ও ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যাও তার পাশে আছেন বলে তিনি জানান। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে বুথ সভাপতি ক্ষোভের মুখে পরে। শেষে খবর পেয়ে ছুটে আসে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ। ক্ষুব্ধ অনামিকা কপালি ভৌমিক বার বার এলাকার উপপ্রধান বুথ সভাপতির দিকে অভিযোগের আগুল তুলেন। তিনি অভিযোগ করেন উনারাই নাকি তাকে হেল্পারের নিয়োগে আশ্বাস দিয়েছিলেন। যদিও অভিযোগকারী বিনা বেতনে কাজ করার কোন কাগজ বা অফিসিয়াল চিঠি এধরণের কিছুই দেখাতে পারেন নি। অন্যদিকে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের দিদিমনি অবশ্য অনামিকা কপালির বিনা বেতনে কাজ করার কথা স্বীকার করেন। শেষ খবর পাওয়া অব্দি জানা যায়, তেলিয়ামুড়া সি ডি পি ও, এলাকার প্রধান সহ এর সুরাহা করার আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি দলের মন্ডল সভাপতি তপন নমো দাসের সাথে যোগাযোগ করলে তপন নম দাস জানান, বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে। যদি কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা আলোচনা করব।
জানা গেছে, গত দুই দিনে কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের চারটি গাও সভার অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে সাতটি ওয়ার্কার এবং হেলপারের অফার এসেছে।