বিশ্বেশর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ২০ জুন || গত ২৮শে মে কাকুলিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জের অধীনে মুহুরীপুর নার্সারি থেকে একটি জলের সিন্টেক্স চুরি হয়ে যায়। জানা যায়, মুহুরীপুর বীট অফিসার অভিজিৎ দাস কিছুদিনের জন্য ছুটিতে যান। এই কথা জানার পর চোরের দল নার্সারী থেকে একটি সিন্টেক্স নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরবর্তী সময় এই বিষয়টি কাকুলিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জার শেখর লোধ জানার পর চুরির বিষয়ে বাইখোড়া থানায় জানায়। ঘটনা জানার পর বাইখোড়া থানার ওসি ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরন করে ঘটনার তদন্ত করেন। গত ১লা জুন এলাকার কিছু লোকজন দেখতে পায় সিন্টেক্সটি নার্সারির মধ্যে জঙ্গলে পরে রয়েছে। এই বিষয়ে এলাকাবাসীরা বন দপ্তরের কর্মীদের নিকট খবর দেয় ও বন দপ্তরের কর্মীরা পুনরায় বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে সিন্টেক্সটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে অফিসে নিয়ে যায়। পরবর্তী সময় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোলাইবাড়ী বিজেপি’র মন্ডল সভাপতি, বাইখোড়া থানার ওসি ও বন দপ্তরের নামে কুৎসা রটাতে কাজ করে যাচ্ছে একাংশ অসাধু লোকজন। সকলে অপপ্রচার করে যাচ্ছে নার্সারি থেকে বিভিন্ন নির্মান সামগ্রী রড ও সিমেন্ট চুরি হয়ে গেছে। যা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন বলে জানান কাকুলিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জার। মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমের সন্মুখীন হয়ে রেঞ্জার জানান, এমন কোনো কিছু চুরি হয়নি। শুধুমাত্র সিন্টেক্স খুঁজে পায়নি পরবর্তী সময় জঙ্গলে তা পাওয়া গেছে। রেঞ্জার এও জানান, সিন্টেক্স চুরির বিষয়ে জানতে পেরে প্রতিনিয়ত কাজ করে গেছে বাইখোড়া থানার ওসি। লোকগুঞ্জনে শোনা যায়, জোলাইবাড়ীর মন্ডল সভাপতি একজন সৎ ব্যক্তি। দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত কড়া বার্তা প্রেরন করেন মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং। তাই মন্ডল সভাপততিকে কালিমালিপ্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে একাংশ অসাধু লোকজনেরা। যার ফলে এই ধরনের অপপ্রচারের মাধ্যমে মন্ডল সভাপতি ও প্রসাশনকে বদনাম করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
