আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ আগস্ট || “জীবন আমাদের রক্তে গড়া, রক্তে গড়া প্রাণ। রক্ত দিয়ে বাঁচাবো মোরা শত শত প্রাণ”।
যে কোনো সুস্থ-সবল মানুষ রক্তদান করলে রক্তদাতার স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হয় না। এমনিতেই রক্তের লোহিত কণিকাগুলো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চার মাস পরপর নষ্ট হয়ে যায়। তাই অকারণে নষ্ট করার চেয়ে তা স্বেচ্ছায় অন্যের জীবন বাঁচাতে দান করলে মানুষের জীবনও বাঁচানো যায়। সামান্য পরিমাণে রক্তদানের মাধ্যমে একটি জীবন বাঁচানো নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ। নিয়মিত রক্তদান করা একটি ভালো অভ্যাস। রক্তদান করা কোনো দুঃসাহসিক বা স্বাস্থ্যঝুঁকির কাজ নয় বরং এর জন্য একটি সুন্দর মন থাকাই যথেষ্ট। রক্তদাতার শরীরের কোনো ক্ষতি তো হয়ই না, বরং নিয়মিত রক্তদান করলে বেশ কিছু উপকারও পাওয়া যায়। রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাব ও সংস্থায় আয়োজিত রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও আগরতলা পুর নিগমের মেয়র বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন।
স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে রাজধানীর দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন ক্লাবের উদ্যোগে “স্বেচ্ছায় রক্তদান” শিবিরের আয়োজন করা হয়। এদিন এই রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য, বিধায়ক গোপাল রায়, কর্পোরেটর অলক ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।
এদিন নর্থ বড়দোয়ালী রিক্রিয়েশন সেন্টারের নতুন ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, সুস্থ সুন্দর সমাজ গঠনে বিভিন্ন ক্লাব এবং সামাজিক সংস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। বিভিন্ন স্থানীয় সমস্যা সমাধানেও ক্লাবের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তাই ক্লাবের ভূমিকা সবসময় নিরপেক্ষ হওয়া উচিৎ।
এদিন স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উপলক্ষ্যে রাজধানীর ভট্টপুকুরস্থিত নিবেদিতা সংঘের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
