আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ আগস্ট || ভারত বিকাশ পরিষদ পূর্ব শাখার উদ্যোগে রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমের অঙ্গ হিসেবে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে দলগত দেশাত্মবোধক সংগীত প্রতিযোগিতা এবং গীতা শ্লোক প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও মাতৃবন্দনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয়। স্বাগত ভাষণ রাখেন সম্পাদিকা শ্রাবনী পাল।আগরতলা পূর্ব শাখার অঞ্চল ভিত্তিক মোট আটটি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। রাজধানীর মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী পর্বে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ভারত বিকাশ পরিষদের রাষ্ট্রীয় প্রজেক্ট ভাইস চেয়ারম্যান ধীরেন্দ্র কলই, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি মুনীন্দ্র মিশ্র, পূর্ব শাখার সভাপতি শ্যামল ভট্টাচার্য। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন মহিলা বাল বিকাশ রিজিওনাল সেক্রেটারি মঞ্জু দেব এবং প্রান্তীয় সংস্কার প্রমুখ চিত্রা রায়।
রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমের অঙ্গ হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সংস্কার এবং দেশাত্মবোধ জাগরণের জন্য ভারত বিকাশ পরিষদের এই কর্মসূচি। ভারত বিকাশ পরিষদ রাষ্ট্রীয় বিচারধারার একটি সংগঠন যা ধর্মনিরপেক্ষ, অরাজনৈতিক বেসরকারি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভারত বিকাশ পরিষদের নানা কর্মসূচি নিয়ে তুলে ধরেন প্রান্তীয় সভাপতি ভজন ভট্টাচার্য এবং প্রান্তীয় সংস্কার প্রমুখ চিত্রা সরকার।এই সংস্থা পাঁচটি বিন্দু নিয়ে ভারত নির্মাণ এবং পুনর্গঠনে সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে যেমন, সম্পর্ক, সহযোগ, সংস্কার, সেবা এবং সমর্পণ।
ছাত্র-ছাত্রীরা হিন্দি দেশাত্মবোধক সংগীত, সংস্কৃত সংগীতএবং বাংলা ফোক সঙ্গীতে দলগতভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত নির্বাচিত বিচারকগণ এ প্রতিযোগিতায় বিচারকের ভূমিকা পালন করেন। প্রতিযোগিতায় বিচারকের রায়ে নির্বাচিত প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দল এবং স্থানাধিকারীনিদের পুরস্কৃত করা হয়। যে নয়টি বিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সেগুলি হল শ্রী শ্রী রবি শংকর বিদ্যামন্দির, ত্রিপুরেশ্বরী বিদ্যামন্দির গান্ধীগ্রাম, অক্সিলিয়াম গার্লস, আনন্দময়ী বিদ্যাপীঠ, ভারতীয় বিদ্যাভবন, কাঠিয়া বাবামিশন স্কুল, ডন বসকো, মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়,শিক্ষা নিকেতন। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
