সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ০৯ সেপ্টেম্বর || হাতে গোনা আর কয়েকটি দিন বাদেই দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা পুজো। বিভিন্ন শিল্প, যানবাহন, মিস্ত্রি, ইঞ্জিনিয়ারিং সহ বভিন্ন অফিস দোকান সহ বাড়িঘরে হতে চলেছে দেবশিল্পীর পুজো। পুজো আয়োজকদের ব্যস্ততার পাশাপাশি এ নিয়ে চলছে ব্যস্ততা মুর্তিপাড়ায়। চলছে পুরোদমে প্রতিমা তৈরীর কাজ। দিনরাত কাজ করে চলছে শিল্পীরা। যাতে পুজা আয়োজকদের ঘরে সঠিক সময়ে পৌছে দিতে পারেন মূর্ত্তি। তেলিয়ামুড়া যে সকল একাকায় প্রতিমা তৈরী করার কাজ করা হয় এর মধ্যে অন্যতম বলাচলে শিববাড়িস্থিত প্রতিমা শিল্পী। শহর ও গ্রামাঞ্চলের বেশির ভাগ প্রতিমা এই স্থান থেকেই নিয়ে যাওয়া হয় বলা চলে। সেখানের এক প্রবিন শিল্পীর সংগে কথা হয় আমাদের প্রতিনিধির। তিনি হলেন তেলিয়ামুড়ার সু-পরিচিত প্রতিমা শিল্পী নরেশ চন্দ্র পাল। কথা প্রসংগে তিনি আমাদের জানান প্রায় চল্লিশ বছর যাবৎ এই শিল্প কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জানান, করোনা কালে পুজো অনেকটা কম হয়। এবছর অবশ্য আয়োজকের সংখ্যা অনেকটা বেরেছে। তবে তিনি জানান, আগের মত তেমন লাভের মুখ দেখতে পাওয়া যায়না এখন। কারন বলতে গিয়ে জানান, যে এখন বাজারের মুল্য বৃদ্ধির কারনে খরচের তুলনায় সঠিক মুল্য পাওয়া যায়না। এছাড়াও প্রতিমা তৈরীর মুল উপকরণ মাটি পর্যন্ত চরা দামে ক্রয় করতে হয়। পাশাপাশি বাঁশ ও সাজসজ্জার সামগ্রীর মুল্য অধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন তেমন লাভ হচ্ছে না। তিনি এও জানান, এখন আগের মত এই কাজ করতে চায়না নতুন প্রজন্ম। ধীরে ধীরে কাজ করার লোকও কমে যাচ্ছে। তবে নরেশ বাবু বলেন, আমি যতদিন পারি এই শিল্পকে ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাব। পরবর্তী সময়ে যেন আগামী প্রজন্ম এই শিল্পটাকে বাচিঁয়ে রাখে এ আহ্বানও রাখেন তিনি।