গোপাল সিং, খোয়াই, ১৬ সেপ্টেম্বর || খোয়াইয়ের ড্রাগ ইন্সপেক্টর সুব্রত দাসের ওপর প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগ। শারীরিকভাবে নিগৃহীত করার অভিযোগ। ঘটনা খোয়াই থানাধীন রামচন্দ্রঘাট এলাকায়। মিডিয়ার সামনে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে ড্রাগ ইন্সপেক্টর সুব্রত দাস বলেন, অনবরত কিল ঘুষি লাথি চড় মারা হয়েছে উনাকে। সাথে অকথ্য অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি উনার গাড়ির চালক সঞ্জিত পালের ওপরেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। শেষে কোনরকমে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে প্রাণরক্ষা করেন তিনি। খোয়াই শহরে এসে তিনি চলে যান খোয়াই জেলা হাসপাতালে। সেখানেই মিডিয়ার সামনে সমস্ত ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ড্রাগ ইন্সপেক্টর জানান, তেলিয়ামুড়া থেকে কল্যানপুর হয়ে রুটিন চেকআপ শেষে তিনি যখন রামচন্দ্রঘাট পৌছেন, তখনই লাইসেন্সবিহীন স্থানীয় এক খুচরো ঔষধ বিক্রেতা যতন শীল মেয়াদবিহীন কিছু ঔষধ ডাষ্টবিনে ফেলে দেন। কিন্তু ড্রাগ ইন্সপেক্টর সেই ঔষধ তুলে এনে জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগে যতন শীল নামে ঐ ব্যক্তি কিছু নিজের পরিচিত যুবকদের সেখানে ডেকে নিয়ে আসে। পরবর্তী সময় সেই দুষ্কৃতকারীর দল উনার উপর প্রাণঘাতী আক্রমন করে এবং গাড়ী ভাঙচুর করার পাশাপাশি চালককেও মারধর করে। পরবর্তী সময় উনি প্রাণ রক্ষার্থে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। খোয়াই জেলা হাসপাতালে উনাদের প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। খবর পেয়ে পুলিশও ছুটে আসে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে তিনি জানিয়েছেন এবং পুলিশ প্রোটেকশন ছাড়া কিভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে উনাদেরও কাজ করতে হয় সেই কথাও তিনি উল্লেখ করেন।