রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ কর্মসূচি ৪টি বাম সংগঠনের

আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ সেপ্টেম্বর || বুধবার আগরতলায় ভারতের জাতীয় মহিলা ফেডারেশন (NFIW), সারা ভারত যুব ফেডারেশন (AIYF), সারা ভারত ছাত্র ফেডারেশন (AISF) এবং সারা ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (AITUC) এর ডাকে রাজ্যে ক্ষমতাসিন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে।
এই প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, রাজ্যে ক্রমাগত নারী নির্যাতন, সারা রাজ্যে নেশার রমরমা ব্যবসায় যুব সমাজের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে চলে যাচ্ছে, রাজ্যের শিক্ষা স্বাস্থ্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে, অস্বাভাবিক দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি, মানুষের হাতে কাজ নেই, এডিসি এলাকায় খাদ্য এবং কাজের সংকট, সরকারি নিয়োগ বন্ধ কিন্তুভম এই বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের এসব বিষয় নিয়ে কোনো হেলদোল নেই, সরকার শুধু উৎসব আর লোক দেখানো কাজ দেখাতে ব্যস্ত। এদিন এই অভিযোগ করে, এরই প্রতিবাদে NFIW, AIYF, AISF এবং AITUC বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।
কর্মসূচিতে NFIW রাজ্য সম্পাদিকা জয়া বিশ্বাস বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী মহিলা সংরক্ষণ বিল সংসদে পেশ করে নিজের বাহবা কুড়োচ্ছেন এবং এই বিলের পিছনে লম্বা আন্দোলনের ইতিহাসকে মুছে দিতে চাইছেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে দেবগৌরা সরকারের সময় সিপিআই সাংসদ প্রখ্যাত সিপিআই নেত্রী প্রয়াত গীতা মুখার্জীর নেতৃত্বে মহিলা সংরক্ষণ বিলের কমিটি গঠন করা হয়। সাংসদ গীতা মুখার্জি কমিটি রিপোর্ট সংসদে পেশ করেন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগঠিত করে NFIW সহ বিভিন্ন মহিলা সংগঠন। মহিলা বিল পাশ করার জন্য শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম করতে রিট পিটিশন ফাইল করে NFIW। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের লাগাতার চাপের ফলে এই বিল সংসদে পেশ করতে বাধ্য হয় মোদী সরকার যদিও এই বিলের আঁকার কিরকম হবে তা এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, রাজ্যেও বিজেপি সরকার একটার পর একটা জনবিরোধী নীতি নিয়ে চলছে। রাজ্যের বেকারদের বঞ্চিত করা হচ্ছে নিয়োগ ক্ষেত্রে, অস্বাভাবিক দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি, রাজ্যে রমরমা নেশার ব্যবসায় যুব সমাজ অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঢোলে পড়ছে, মানুষের হাতে কাজ নেই কিন্তু শাসক বিজেপি সরকারের এই নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা নেই। এসব জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধেই এই বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে AITUC নেতা মিলন বৈদ্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সব কিছুতেই নিজের কৃতিত্ব দাবি করেন, তাহলে তো ওনাকে মনিপুরের নৃশংস নারী নির্যাতনের ঘটনা, হরিনার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ইত্যাদি ঘটনার জন্যও ওনার কৃতিত্ব নেওয়া উচিত।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন NFIW রাজ্য সভানেত্রী তুলসী দাস কপালি, AITUC নেতা ধনমনী সিং, বিভাস ভট্টাচার্যী, সুব্রত দেবনাথ, AIYF রাজ্য সম্পাদক বিক্রজিৎ সেনগুপ্ত, AISF রাজ্য সহ-সম্পাদক সায়ন পাল সহ কর্মী সমর্থকরা।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*