সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ২২ সেপ্টেম্বর || লেগেছে দোলা কাশবনে। আগমনীর আগমনের ছোয়া লেগেছে আকাশে বাতাসে। বাংলার ছয়টি ঋতুর মধ্যে শরৎ একটি অন্যতম ঋতু। আর এই শরৎ মানেই শারদীয়ার আগমনী বার্তা। শরতের মৃদু বাতাস কাশবনে কাশফুলের আন্দোলিত হওয়ার দৃশ্য রাজ্যের চারিদিকে ফুটে উঠেছে। এর থেকে পিছিয়ে নেই তেলিয়ামুড়া শহর। কাশফুলের পাশাপাশি শিউলি ফুল সহ রকমারি ফুলের সৌরভ আকাশে বাতাসে মুখরিত হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে শারদীয়ার প্রস্তুতি হিসাবে মূর্তি পাড়াতে চলছে গুটি গুটি করে দুর্গা দেবীর কাঠামো তৈরির কাজ। এমন দৃশ্য পরিলক্ষিত হলো তেলিয়ামুড়া শিব বাড়িস্থিত মূর্তি পাড়াতে গিয়েও। তাছাড়া বাঙালিদের প্রধান দুর্গোৎসব উৎসব। তবে এখন শুধু বাঙালি নয় , জাতি – জনজাতি সকলেরই প্রধান উৎসব দুর্গোৎসব হয়ে উঠেছে। হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। প্রত্যেক বছর শরতের এই পূর্ণ তিথিতে কাশফুলের দোলা দেখে আমরা বুঝতে পারি যে, মা দুর্গার আগমনের সময় এসে গেছে। মূলত এই কাশফুলের দোলায় মন মুখরিত এবং মুগ্ধ হয়ে যায়। প্রত্যেক বছর এই সময়ে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে কাশফুলের আনাগোনা পরিলক্ষিত হয়। কাশফুলই জানিয়ে দেয় দেবীপক্ষের সূচনা হতে চলেছে এবং দুর্গাপুজোর এক অনাবিল আনন্দে মেতে উঠে শহর থেকে গ্রাম সকল অংশের জনগণ আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন পরই দেবীপক্ষের সূচনা হতে চলেছে। প্রতি বছর এই দুর্গাপুজোর প্রাকমুহূর্তে শহর থেকে গ্রাম প্রত্যেকটা জায়গায় জন সকল অংশের মানুষের মধ্যে অনাবিল আনন্দ পরিলক্ষিত হয়। তাইতো কুমুর পাড়ায় শুরু হয়ে গেছে ব্যস্ততা। এমনই দৃশ্য পরিলক্ষিত হয় তেলিয়ামুড়া শিববাড়িস্থিত মায়ের প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত এক শিল্পীকে। আগমনীর ছোয়া লেগেছে আকাশে বাতাসে সকল অংশের মানুষের মধ্যে এক অনাবিল আনন্দ বিরাজ করছে। আগমনী নিয়ে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করলেন তেলিয়ামুড়ার সুপরিচিত প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিত্যানন্দ দেব।