বিশ্বেশর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ২৩ সেপ্টেম্বর || যুব সমাজকে নেশার করালগ্রাস থেকে মুক্তি দিতে ও দু্র্ঘটনা এরাতে শান্তিরবাজার থানার এস আই সুজিত সরকারের উদ্দ্যোগে বেতাগায় শান্তিরবাজার ডিগ্রি কলেজে এক প্রয়াস অনুষ্ঠান করা হয়। শান্তিরবাজার ডিগ্রী কলেজে পাঠরত ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে শুক্রবার এই প্রয়াস অনুষ্ঠান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা কিভাবে যুবসমাজকে নেশার কবলগ্রাস থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তা শান্তিরবাজার জেলা হাসপাতালের এম এস জে এস রিয়াং জানান, এই এলাকাটি শান্তিরবাজার জেলা হাসপাতালের অধীনে না থাকাসত্বেও তিনি যুব সমাজের কথা চিন্তা করে এই অনুষ্ঠানে যোদান করেছেন। এম এস জে এস রিয়াং উনার মূল্যবান বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেশার বিভিন্ন দিকগুলি আলোচনা করেন। নেশাগ্রস্থ হলে কি কি ক্ষতির সন্মুখিন হতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করলেন এম এস। তিনি জানান, শান্তিরবাজার জেলাহাসপাতালে নেশাগ্রস্থ লোকজনদের রাখার জন্য ৫০ সিট বিশিষ্ট নেশামুক্ত কেন্দ্র গরে তোলা হবে। রাজ্য সরকার নেশার কবলগ্রাস থেকে যুবকদের মুক্তি দিতে এই বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। এছারা আউটডোর চলাকালিন সময়ে যে সকল লোকজনেরা নেশার কবলগ্রাস থেকে নিজেদের পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করতে চান তাদের চিকিৎসা করাতে পারেন। শান্তিরবাজার জেলা হাসপাতাল থেকে একপ্রকারের ঔষধ দেওয়া হয় যেগুলি খেলে নেশার মনোভাব কিছুটা কমবে। এই সুযোগ সুবিধাগুলি নেওয়ার জন্য বিশেষ আহব্বান জানান এম এস। এছারা এম এস জানান, নেশা থেকে মুক্তি পেতে তেমন কোনো ঔষধ নেই। অনেকে মনে করেন ঔষধ খেলে নেশা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এগুলো লোকজনদের ভুল ধারনা। নেশাগ্রস্থ লোকজনেরা নিজেদের মানসিক সন্তোলনের মাধ্যমে নেশার কবলগ্রাস থেকে মুক্তি পেতে পারে বলে জানান এম এস জে এস রিয়াং। এছারা নেশা করলে ও হেলমেট বিহিন বাইক চালালে, গাড়ীতে অভার লোড নিলে ও মদমত্ত অবস্থায় যানবাহন চালালে কি কি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয় ও লোকজনেরা কি কি ক্ষতির সন্মুখিন হতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করলেন এস আই সুজিত সরকার। এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন শান্তিরবাজার জেলা হাসপাতালের এম এস জে এস রিয়াং, শান্তিরবাজার পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান সপ্না বৈদ্য, ভাইস চেয়ারম্যান সত্যব্রত সাহা, শান্তিরবাজার থানার এস আই সুজিত সরকার, বিশিষ্ট সমাজসেবী বিপুল ভৌমিক , শান্তিরবাজার ডিগ্রী কলেজের প্রিন্সিপাল সঞ্জয় দাস সহ অন্যান্যরা।