যীষ্ণু দেব বর্মণ সহ নবাদল বণিকের উপস্থিতিতে তেলিয়ামুড়ায় পথ চলা শুরু ট্রিমাজন ইন্ডাস্ট্রির

সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ২৫ সেপ্টেম্বর || চোখে একরাশ স্বপ্ন, মনে গভীর আত্মবিশ্বাস এবং অদম্য স্পৃহা সহ কিছু করে দেখানোর মানসিকতাকে পুঁজি করে একদল নব প্রজন্মের যুব অংশের হাত ধরে তেলিয়ামুড়াতে পথচলা শুরু হলো ট্রিমাজন ইন্ডাস্ট্রির। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, আজ থেকে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর আগে তেলিয়ামুড়ার গোলাবাড়ি এলাকাতে জনাকয়েক উদ্যোগী যুবক শিল্প গড়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে গুটি গুটি পায়ে পদচারনা করতে শুরু করে। ২০১৭ থেকে পথচলা শুরু করে আজ ২০২৩, এই সময়ের মধ্যে দীর্ঘ চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ইতিমধ্যে ট্রিমাজন ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন প্রোডাক্ট রাজ্যের বাজারে একটু একটু করে বিস্তার লাভ করতে শুরু করেছে।
সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট উদ্যোগ স্থলে বর্ণময় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার পথ চলার উদ্বোধনী পর্ব সম্পন্ন হয়। এই পর্বে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেব বর্মণ, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান নবাদল বণিক। এছাড়া তেলিয়ামুড়ার বুকে ব্যতিক্রমী এবং অনুপ্রেরণাকারী এই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে বিভিন্ন স্তরের, বিভিন্ন পেশার নানান স্তরের সাধারণ মানুষদের উপস্থিতি গোটা অনুষ্ঠানকে বর্ণময় করে তোলে।
উক্ত অনুষ্ঠানে নিজের আলোচনায় অংশগ্রহণ করে ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান নবাদল বণিক যেভাবে একাংশ নব প্রজন্মের যুবকরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে উৎসাহিত হয়ে ট্রিমাজন ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তার ব্যাপক প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে শিল্প উন্নয়ন নিগম তথা সরকারের তরফ থেকে সাধ্যমত সব রকম ভাবেই সাহায্য সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
অন্যদিকে নিজের আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেব বর্মণ দাবি করেন, সাধারণত উচ্চশিক্ষিত বা শিক্ষিত যুবকরা নিজেদের জন্য চাকরি বা লোন দাবি করেন, কিন্তু এই জায়গায় দাঁড়িয়ে ট্রিমাজন ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধারেরা যেভাবে নিজেদের স্বনির্ভর করার পাশাপাশি অন্যদেরকে স্বনির্ভর করার স্বপ্ন দেখছেন, নিঃসন্দেহে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ব্যাপক প্রসার কামনা করেন।
এদিকে সংশ্লিষ্ট ইন্ডাস্ট্রির পথচলা এবং আগামীর লক্ষ্য নিয়ে নিজের নাতি দীর্ঘ আলোচনায় কোম্পানির অন্যতম কর্ণধার শান্তনু দাস দাবি করেন, আগামী দিনে ট্রিমাজন ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে গোটা ত্রিপুরার নাম দেশের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। তবে আগামী দিনে নিজেদের এই উদ্যোগকে আরো বেশি করে প্রসারিত করার জন্য সরকার বা প্রশাসনের কাছে বিনম্রভাবে সাহায্য সহযোগিতা প্রার্থনা করছেন শান্তনু বাবু।
এছাড়াও গোটা অনুষ্ঠানে স্থানীয় গ্রাম প্রধান গোপাল দাসের সভাপতিত্বে স্বাগত ভাষণ রাখতে গিয়ে এই কোম্পানির পথ চলতে গিয়ে যারা যারা সাহায্য সহযোগিতা করেছেন বা করছেন প্রত্যেককে অভিনন্দন জানিয়েছেন সংস্থার অন্যতম কর্ণধার প্রতীক কর। গোটা অনুষ্ঠান বা উদ্বোধনী পর্বকে বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনেও অত্যন্ত আলোরিত করতে স্থানীয় শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*