বিশ্বেশর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ১২ অক্টোবর || ১৯৮৮ সালের ১২ই অক্টোবর সিপিআই(এম)’র নেক্কারজনক ঘটনার ফলে বীরচন্দ্র এলাকায় প্রাণ হারাতে হলো তৎকালিন কংগ্রেস সমর্থক দুলাল দেবনাথকে। একটি খেলায় উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি হোওয়াতে সেদিন মোট ১৪ জন শহীদ হয়েছিল। এরমধ্যে ১৩ জন সিপিআই(এম) সমর্থীত হবার ফলে ১৩ জনকে শহিদ আখ্যায়িত করে মৃতদের নিয়ে রাজনিতি করেছিলো সিপিআই(এম)। লোকজনদের ভুল বুঝিয়ে বামেদের অপশাসন কায়েম রাখতে চেয়েছিলো সিপিআই(এম)। তৎকালিন সিপিআই(এম)’র সকল অনুষ্ঠানে ভাষন দিতে গিয়ে ১৯৮৮ সালের দাঙ্গা বলে লোকজনদের বিভ্রান্ত করতো সিপিআই(এম)। বর্তমান সময়ে রাজ্যে পালাবদলের পর বিজেপি’র উদ্দ্যোগে শহীদ দুলাল দেবনাথের পরিবারকে যোগ্য মর্যাদা ফিরিয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বীরচন্দ্র বাজারে শহীদান দিবস উৎযাপনে এই অভিযোগ করেন উপস্থিত অতিথিরা।
বর্তমান সময়ে বিজেপি’র উদ্দ্যোগে যথাযথ মর্যাদার সহিত শহীদ দুলাল দেবনাথকে স্মরন করা হয়। বৃহস্পতিবার একগুচ্ছ কর্মসূচীর মাধ্যমে বীরচন্দ্র বাজারে শহীদান দিবস উৎযাপন করা হয়। ৩৬-শান্তিরবাজার মন্ডল বিজেপি’র উদ্দ্যোগে দুলাল দেবনাথকে স্মরনে সকালবেলায় স্বচ্ছভারত অভিযান করা হয়। পরবর্তীসময় শহীদান দিবস উৎযাপন করে এক স্মরন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন এই স্মরন সভায় প্রধানবক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য্য। এই অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া, মনু বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মাইলাফ্রু মগ, বিজেপি’র দক্ষিন জেলার সভাপতি শঙ্কর রায়, বিজেপি’র দক্ষিন জেলার কিষান মোর্চার সভাপতি সত্যব্রত সাহা, ৩৬-শান্তিরবাজার বিজেপি’র মন্ডল সভাপতি শ্যামলাল দোবনাথ সহ অন্যান্যরা।
এদিন এই স্মরন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তারা দুলাল দেবনাথ কিভাবে শহীদ হয়েছেন এবং তৎকালিন বামেরা কিভাবে লোকজনদের ঠকিয়েছেন তার তথ্য বক্তব্যের মাধ্যমে জনসন্মুখে তুলে ধরেন।
বিজেপি’র উদ্দ্যোগে আয়োজিত এই স্মরন সভায় লোকজনদের উপস্থিতির হার ছিলো লক্ষ্যনীয়।