বিশ্বেশর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ১৩ নভেম্বর || জোলাইবাড়ী বিধানাসভায় পরিবর্তনের পর নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনন্দে মাতোয়ারা হচ্ছে জোলাইবাড়ীবাসী। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে জোলাইবাড়ীবাসী নিজেদের আনন্দকে ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছে যা বিগতদিনে দেখা যায়নি। এরইমধ্যে জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আভাংছড়া এডিসি ভিলেজে জনজাতি অংশের লোকজনেরা শ্যামা মায়ের আরাধনায় মাতোয়ার হয়ে উঠলেন। আভাংছড়া এডিসি ভিলেজে জনজাতি অংশের লোকজনের বসবাস। বিগত বামেদের আমালে এই এলাকার লোকজনের ভয়ভিতির মধ্যে দিনকাটাতো। বর্তমান সময়ে জোলাইবাড়ী বিধানসভায় পরিবর্তনের পর এলাকাবাসী বাচাঁর জন্য নতুন আশার আলো দেখছেন। বর্তমান সময়ে জনজাতি অংশের লোকজনেরা স্থানীয় চাড়াই কাতাল ক্লাবের মাধ্যমে শ্যামামায়ের আরাধনায় মাতোয়াতা হয়ে উঠেছেন। শুধুমাত্র আনন্দনয় ক্লাবের কর্মীবৃন্দরা সামাজিক কর্মসূচীতে এগিয়ে রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় বড় বাজেটের পূজা করলেও কোনো প্রকারের সামাজিক কর্মসূচী থাকেনা। কিন্তু আভাংছড়া চাড়াই কাতাল ক্লাবের সদস্যরা সল্প বাজেটের পূজা করলেও নানান সামাজিক কর্মসূচী করে গেছে। এলাকার লোকজনেরা উনাদের অনন্দ ও সামাজিক কর্মসূচী স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়াকে সঙ্গে রেখে ভাগবাটোয়ারা করেছেন যা বিগত দিনে দেখা যায়নি। সকলে অনুষ্ঠান মঞ্চে মন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে সমস্ত অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন ও মন্ত্রীর মূল্যবান বক্তব্য শুনেছেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে দীপাবলি উপলক্ষ্যে এলাকার গরীব দুস্থদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিলেন মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া সহ অন্যান্যরা। এই সমগ্র অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন চাড়াই কাতাল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মেঘনাথ ত্রিপুরা, সম্পাদক জতীন্দ্র ত্রিপুরা, কেশিয়ার জীতাচরন ত্রিপুরা, ভিলেজ চেয়ারম্যান চাইলাফ্রু মগ, এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী সমঞ্জয় ত্রিপুরা সহ অন্যারা। এই কর্মসূচী সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সামনে মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া জানান, এই মন্দিরের সার্বিক উন্নয়নে স্থানীয় বিধায়ক হিসাবে তিনি সার্বিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।