বিনা মূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা দিতে চান ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা জাকারবার্গ

mzতথ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক ।। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুক আবিষ্কার করেছিলেন সেই ২০০৪ সালে। কিন্তু এরপর কি এখানেই থেমে যাবেন তিনি? না এবার ফেসবুকের চেয়েও বড় এক মিশনে নেমেছেন তিনি। বিশ্বের সবখানে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা করে দিতে চান তিনি। সেই লক্ষ্যেই দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু এই স্বপ্ন সফল করতে সব বাধা পেরিয়ে কীভাবে সফল হবেন জাকারবার্গ?
এই কঠিন মিশন সম্পর্কে মার্ক জাকারবার্গে বলেন, জীবনে যত বাধা-বিপত্তিই আসুক না কেনো স্বপ্নপূরণের পথে কখনো হাল ছাড়া যাবে না সফলতা আসবেই।
সত্যই তাই হার্ভার্ডের ডরমিটরিতে বসে জাকারবার্গ তৈরী করেছিলেন ফেসবুক। সেই সফলতার পেছনে তাঁর এই ‘হাল না ছাড়া’ মূলমন্ত্রটিই কাজ করেছে বলে সম্প্রতি ফেসবুকে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে জানিয়েছেন জাকারবার্গ।
জাকারবার্গের বর্তমান পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সবখানেই বিনা খরচে ইন্টারনেট আনার প্রকল্প ‘ইন্টারনেট ডট ওআরজি’ এগিয়ে নিতে কাজ করছেন তিনি। ইউরোপ মহাদেশেও বিনা খরচে ইন্টারনেট আনা হবে বলে জানান জাকারবার্গ। এ ছাড়াও অন্যান্য দেশে এই প্রকল্পটি এগিয়ে নিতে কাজ চলছে।
জাকারবার্গ জানান, ফেসবুকের বিনা মূল্যের ইন্টারনেট প্রকল্প ইউরোপেও চালু হবে। শুধু ইউরোপ নয়, যাঁদের ওয়েবে যুক্ত হওয়ার দরকার এমন সবার কাছেই এই সেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। বিশ্বের ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত দুই তৃতীয়াংশ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দিতেই তাঁর এই উদ্যোগ। এই প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে ভারত, জাম্বিয়া ও কলাম্বিয়াতে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা মিলছে। তাঁর তৈরি ইন্টারনেট ডট ওআরজি উদ্যোগটি মূলত বেসিক ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা নিয়ে কাজ করে।
এক প্রশ্নের জবাবে জাকারবার্গ আরো বলেন,‘উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাস করার কারণে বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ উদ্যোক্তা ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় নেই। ইন্টারনেট ডট ওআরজি চালু হলে তাঁদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা উন্নত বিশ্বের কাছে, ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছাতে পারবে। আমার কাছে মনে হয়, বিনা মূল্যে ইন্টারনেট পেলে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য-তথ্য, চাকরি-বাকরির তথ্য হাতের নাগালে আসবে।’
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার ও টেলিগ্রাফ অবলম্বনে

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*