এসো হে বৈশাখ

new yrদেবজিত চক্রবর্তী, আগরতলা, এপ্রিল ।। ‘সময় ছুটিয়া যায়, নদীর শ্রোতের ন্যায়’ – এমুহূর্তে প্রকৃতি আর মানুষের চলমান জীবন প্রবাহে সময়ের বয়ে চলার সাক্ষাৎ উপস্থিতি। দিন, রাত, মাস, বছরকে পেছনে ফেলে ঋতুর আবর্তনে প্রকৃতি জানান দিচ্ছে বৈশাখের আগমনী বার্তা। একেক ঋতু নিয়ে আসে একেক রং, তবে বৈশাখ আপন রঙে এতটাই বর্ণিল যেখানে একাকার বিশ্বকবি আর বাঙালীর চিরন্তন রীতিনীতি। বাংলা নববর্ষের নতুন সকালের প্রথম আলো ছড়িয়ে পড়তেই শোনা যায় বিশ্বকবির চির অম্লান ‘এসো হে বৈশাখ’-র সুর।বৈশাখের প্রথম দিনে আমাদের এই পাহাড়ী রাজ্যেও শহর থেকে গ্রামে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।বলা হয় বৈশাখ আর বাঙ্গালীতে কোনো ভেদ নেই, তবে ত্রিপুরায় উপজাতি, বাঙ্গালী, অন্যান্য সম্প্রদায়ের বৈশাখের আনন্দ একেবারে তুলনাহীন।নববর্ষে নবহরষে অনুষ্ঠান উদযাপনে কবি প্রনাম যেমন থাকে তেমনি থাকে পঞ্চব্যাঞ্জনে উদর পূর্ত্তির আয়োজন।গাঁয়ে গঞ্জে নববর্ষে নানা রকমের পূজো পার্বণ, চড়ক পূজো, মেলার আয়োজন – ছকে বাঁধা জীবনটাকে অন্যরকম আনন্দ পরশে মাদকীয় অনুভূতির সৃষ্টি করে হৃদয় মননে।আত্মমগ্ন পৃথিবীতে ক্ষুদ্র স্বার্থে যখন আত্মীয়তার সুতো ছিন্ন হচ্ছে, দূরত্ব বাড়ছে মানুষে মানুষে তার মধ্যেই বৈশাখ আর নববর্ষ এলে হৃদয় যেন বলতে চায় বৈশাখ কে আমরা বন্ধনের, বন্ধুত্বের, আত্মীয়তার সেই চিরন্তন রুপে দেখতে চাই।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*