দেবজিত চক্রবর্তী, আগরতলা, ১৮ এপ্রিল ।। গোটা রাজ্যের মানুষকে হতবিহ্বল করে দিয়েছে রানীরবাজার বৃদ্ধনগরে পৈশাচিক উন্মত্ততায় কল্পনা দাসের খুনের ঘটনা। খুনের বীভৎস ঘটনা বহু চাক্ষুস করেছে এই শহর, তবে বৃদ্ধনগরের খুন অনেকেরই স্মৃতি জাগিয়ে তুলেছে প্যালেস কম্পাউন্ডের গনদূত পত্রিকা দপ্তরের ছাই চাপা সেই নারকীয় হত্যাকান্ডের। লোভ, লালসার চূড়ান্ত পরিনতি মানুষকে এতটাই হিংস্র করে তোলে যেখানে নৃশংসতা, পাপাচারের শেষ বিচারের তোয়াক্কা না করেই অপরাধী বর্বরোচিত ঘটনা করে থাকে।
বৃদ্ধনগরে কল্পনা দাসের মর্মান্তিক মৃত্যুর পেছনে মানুষরূপী যমদূতদের যোগসাজশ নিয়ে রাজ্যের সবকটা গণমাধ্যম সংবাদ তুলে ধরেছে, চলছে পুলিশী অন্তর্তদন্ত, আদালতেও তোলা হয়েছে শনিবার বৃদ্ধনগর ঘটনার কুশীলবদের। আদালত আগামী ২৪শে এপ্রিল পর্যন্ত প্রাক্তন পশ্চিম জিলা সভাধিপতি জীতেন দাস সহ আরও তিন জনকে পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেয়।
পাপের পরিনতিতে প্রাক্তন পশ্চিম জিলা সভাধিপতি জীতেন দাস কে CPI(M) থেকে বহিষ্কৃত করলেই দল দায় মুক্ত হচ্ছেনা, মানব হয়ে যারা দানবীয় উদাহরনে ফালি ফালি করে মানুষ খুন করতে পারে তাদের সামাজিক ভাবে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তিতে যাতে অদৃশ্য রাজনীতি আইনকে রুদ্ধ করে না দেয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে। পাপ ছোট হোক কিংবা বড় – রাজনীতির সম্পৃক্ততায় নয়, দলীয় আনুগত্যে নয় – বিচার হোক আইনী পথে। জীতেনের মতো এক পীসই যথেষ্ট একটি দলকে পথে বসাতে – এ নিয়ে ভাববেন রাজনীতির মানুষেরা।