বাঙ্গালীর ঐতিয্যবাহী পিঠেপুলি উৎসব দেশবন্ধু ক্লাবে

বিশ্বেশর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ১৪ জানুয়ারি || অন্যান্য বছরের ন্যায় এইবছরও শান্তিরবাজার দেশবন্ধু ক্লাবের উদ্দ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় পিঠেপুলি উৎসব। শান্তিরবাজার দেশবন্ধু ক্লাব প্রতিনিয়ত নানান সামাজিক কর্মসূচী করে থাকে। এরইমধ্যে স্ব-সহায়ক দলের মহিলাদের আর্থিক দিক দিয়ে সাবলম্বী করতে ও বাঙ্গালীর ঐতিয্যবাহী পিঠেপুলি উৎসবকে ধরে রাখতে দেশবন্ধু ক্লাবের উদ্দ্যোগে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ক্লাবের উদ্দ্যোগে শান্তিরবাজার মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে স্ব-সহায়ক দলের সদস্যদের নিয়ে পিঠেপুলি উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই পিঠেপুলি উৎসবে পিঠে তৈরি করার সমস্ত প্রকারের সামগ্রী ক্লাবের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। এইসকল সামগ্রী দিয়ে স্ব-সহায়ক দলের সদস্যরা পিঠে বানিয়ে সেগুলি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে।  তার জন্য ক্লাবকে এক টাকাও দিতে হবে না। ক্লাবের পক্ষ থেকে স্ব-সহায়ক দলের সদস্যদের পিঠে বিক্রি করার জন্য ষ্টল ও বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এইসকল খরচ বহন করবে দেশবন্ধু ক্লাব। শান্তিরবাজারে বিভিন্ন ক্লাব থাকলেও সর্বদা লোকজনের সুখে দুঃখে পাশে দাঁড়ায় দেশবন্ধু ক্লাবের সদস্যরা। ক্লাবের সম্পাদক প্রবীর বরণ দাস ও সভাপতি সত্যব্রত সাহার উদার মানসিকতায় এইধরনের কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। দেশবন্ধু ক্লাব লোকজনদের সাহায্যের পাশাপাশি লোকজনদের আনন্দ প্রদানে বিভিন্ন প্রকারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ঐতিয্যবাহী মেলা অনুষ্ঠিত করে থাকে। ক্লাবের উদ্দ্যোগে আয়োজিত পিঠেপুলি উৎসবে বিগত বছরে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার পিঠে বিক্রি করেছে স্ব-সহায়ক দলের সদস্যরা। এইবছরও প্রথম দিনের উৎসবে ব্যাপকহারে লোকসমাগম ঘটে। আশা করা যাচ্ছে বিগত বছরের তুলনায় এইবছর আরো বেশি পরিমানে বিক্রি হবে।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী টিঙ্কু রায়, মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া, শান্তিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, শান্তিরবাজার পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান সপ্না বৈদ্য, ক্লাবের দুইজন প্রধান জনপ্রীয় ব্যক্তি প্রবীর বরন দাস ও সত্যব্রত সাহা।
মন্ত্রীরা উনাদের বক্তব্যের মাধ্যমে দেশবন্ধু ক্লাবের এইধরনের উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। মন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার মহিলাদের আর্থিক দিক দিয়ে সাবলম্বী করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। রাজ্য সরকারের এই উদ্দ্যেশ্যকে সাফল্যমন্ডীত করতে কাজ করে যাচ্ছে দেশবন্ধু ক্লাব। সকলে মিলে তিনদিন ব্যাপী এই মেলায় আনন্দ উপভোগ করার জন্য জানালেন বক্তারা।
বক্তব্য শেষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দরা স্ব-সহায়ক দলের দেওয়া বিভিন্ন স্টল গুলি পরিদর্শন করেন। সর্বশেষে পিঠেপুলি উৎসবে আগত লোকজনদের বিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*