একইসাথে তিনটি বাচ্চার জন্ম দিলো একজন গর্ভবতী মহিলা

বিশ্বেশর মজুমদার, শান্তিরবাজার, ৩০ জানুয়ারি || শান্তিরবাজার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো। জেলা হাসপাতালের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিরলতম চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করে গেলো চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫৭ মিনিট নাগাদ সাব্রুম মহকুমার কলাছড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রসব বেদনায় কাতর হিরনমালা ত্রিপুরা নামে এক মহিলাকে রেফার করা হয়।  জানা যায়, মহিলা গর্ভবতী হবার পরেও কোনোপ্রকার চেকাপ করাননি। মহিলার পূর্বে দুইটি সন্তান থাকায় ও মহিলার হাইপ্রেসার থাকার ফলে কলাছড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মহিলাকে রেফার করা হয়। এই অবস্থায় মহিলাকে সঠিকভাবে চিকিৎসা প্রদানে এগিয়ে আসলো শান্তিরবাজার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক। সেই সময় জেলা হাসপাতালে গাইনো স্পেশালিষ্ট কৌশিক মহাজন কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলো চিকিৎসক ও সেবিকাদের সঠিক পরিষেবায় স্বাভাবিক ভাবে তিনটি ফুট ফুটে সন্তানের জন্মদিলো মহিলা।  প্রথমে একটি কন্যা সন্তান ও পরবর্তীতে দুইটি পুত্র সন্তানের জন্মদিলো মহিলা।
জানা যায়, মা ও তিন সন্তান সুস্থ অবস্থায় রয়েছে।  তবে তিন সন্তানের ওজন কম। যার মধ্যে প্রথম কন্যা সন্তানটি হয়েছে ১.৩ কেজি, দ্বিতীয়টি ১.৫ কেজি ও তৃতীয়টি ১.৪ কেজি। একইসাথে নরমাল ডেলিভারি তিন সন্তানের জন্মের খবর পেয়ে তিন সন্তানের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়ালরেখে জেলা হাসপাতালে দ্রুততার সহিত ছুটে যান শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার প্রসেনজিৎ দাস। ডাক্তার প্রসেনজিৎ দাসের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বর্তমান সময়ে এখনো পর্যন্ত তিনটি শিশু সুস্থ রয়েছে। তিনটি শিশুর শারিরিক বিভিন্ন দিকগুলি নিয়ে প্রতিনিয়ত দেখাশুনা করছে ডাক্তার প্রসেনজিৎ দাস। এদিন এই সন্তান প্রসবের কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান গাইনো স্পেশালিষ্ট ডাক্তার কৌশিক মহাজন। তিনি জানান, এইধরনের ঘটনা শান্তিরবাজার জেলা হাসপাতালে প্রথমবারের মতো হয়েছে। এই চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে শান্তিরবাজার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা আরেকধাপ এগিয়ে গেলো।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*