গজেন্দ্রের আত্মহত্যার পরেও জনসভা চালিয়ে যাওয়া ভুল – স্বীকার করে নিলেন কেজরিওয়াল

hfজাতীয় ডেস্ক ।। গজেন্দ্রের আত্মহত্যার পরেও জনসভা চালিয়ে যাওয়া ভুল হয়েছিল। স্বীকার করে নিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে তার সঙ্গেই মিডিয়াকেও এক হাত নিয়েছেন আপ সুপ্রিমো। প্রশ্ন তুলেছেন টিআরপি-এর পিছনে না ছুটে কেন মিডিয়া সারা দেশের কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে সরব হচ্ছে না।
কেজরির দাবি সেদিনের ঘটনা তাঁর রাতের ঘুম কেড়েছে। যা হয়ছে তা হজম করা আমার পক্ষে অসম্ভব। বলেছেন, একমাত্র নিরপেক্ষ তদন্তই সত্যিটা সামনে আনতে পারে।
কেজরিওয়াল মূলত তিনটি দাবি করেছেন, এক, কৃষকের অনুমতি ব্যতীত একটি জমিও কেড়ে নেওয়া যাবে না। দুই, জমির যথাযথ মূল্য দিতে হবে কৃষককে। তিন, ফলনের ক্ষতির জন্য যদি ন্যায্য ক্ষতিপূরণ কৃষকের অধিকার, মূখ্যমন্ত্রীর দয়ার বিষয়বস্তু না।
আম আদমি পার্টির প্রকাশ্য জনসভায় রাজস্থানের কৃষক গজেন্দ্র সিংয়ের মৃত্যুর আকস্মিকতার শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশ। আর এর মধ্যেই সব ছাপিয়ে দিল্লি পুলিসের সঙ্গে মোটামুটি সম্মুখ সমরে নামল কেজরি সরকার। চলছে পারস্পরিক দোষারোপের পালা। একদিকে এফআইআর-এ পুলিসের নিশানায় আপ নেতা-কর্মীরা, অভিযোগ আত্মহত্যায় প্ররোচণা, ষড়যন্ত্র ও পুলিসের কাজে বাধা দেওয়া। অন্যদিকে, আপ-এর দাবি গজেন্দ্রর মৃত্যুর জন্য দায়ী পুলিসই, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ তারা।
বুধবার আপ-এর জনসভা চলাকালীনই সবার সামনে গাছে উঠে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন কৃষক গজেন্দ্র সিং। মঞ্চে তখন বক্তব্য রাখছেন আপ নেতা কুমার বিশ্বাস। অভিযোগ, গজেন্দ্র যখন আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন আম আদমি পার্টির কোনও নেতা, কর্মী বা স্বেচ্ছাসেবীরা তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি। গজেন্দ্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেও মিটিং যেমন চলছিল, তেমন চললো। কৃষক দুর্দশা নিয়ে ভারি ভারি শব্দক্ষেপণ চলতে লাগলেন আপ নেতারা। মঞ্চে বক্তৃতা দিলেন সঞ্জয় সিং, মনীশ শিশোদিয়া, কেজরিওয়াল। বক্তৃতায় উঠে এল ওই গজেন্দ্রর মৃত্যুর কথা। তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হল পুলিসকে। সভাতেই পরা হয় ওনার সুইসাইড নোটও। আরো ৭৫ মিনিট ধরে চলা সভা চলে। এরপর সপারিষদ কেজরি হাসপাতালে অবশ্য গিয়েছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আপ। আপ নেতা কুমার বিশ্বাসের দাবি তাঁরা নাকি পুলিসকে অনেকবার গজেন্দ্রকে বাঁচাবার অনুরোধ করেন। কিন্তু পুলিস নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল।
অন্যদিকে, গজেন্দ্রর যে সুইসাইড নোটটি সেই দিন আপ-এর সভায় পড়া হয়েছিল, তাঁর পরিবারের দাবি সেই সুইসাইড নোটের হাতের লেখা নাকি গজেন্দ্রর নয়। তথ্য – জি নিউজ।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*