৪২-এ পা দিলেন বাইশ গজের মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকার

kjhhস্পোর্টস ডেস্ক ।। আজ দেশজুড়ে মিষ্টি আর কেকে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। তার উপস্থিতি ছাড়াই জন্মদিনে মেতেছে ছোট থেকে বড় ফ্যান-ফলোয়াররা।মোমবাতির আলো আর কেক মিষ্টিতে পালিত হচ্ছে জন্মদিন। ‘শুভ জন্মদিন’ লিটল মাস্টার। শুক্রবার ৪২-এ পা দিলেন বাইশ গজের মাস্টার ব্লাস্টার। এ উপলক্ষে সেলেব শুভেচ্ছা-বার্তায় ভাসছে ট্যুইটার। সকাল থেকেই একের পর এক শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছছে লিটল মাস্টারের কাছে। ১৯৭৩-এর ২৪ এপ্রিল এই গ্রহে জন্ম নেন ক্রিকেটের বিস্ময় বালক শচীন তেন্ডুলকার৷ ক্রিকেট রেকর্ডের মগডালে বিরাজমান এই মানুষটি আজ ৪২-এ পা দিলেন৷ বছর দুয়েক হলো ক্রিকেটকে আলবিদা জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার৷ ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কেরল ব্লাস্টার্সের কো-ওনার এ মুহূর্তে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মুখ্য মেন্টরের ভূমিকাতেই কাজ করছেন৷ আধুনিক ক্রিকেট ডনের ক্যারিয়ারে রেকর্ড উপচে পড়ছে৷ কিন্তু বাইশগজের বাইরে শচীনের বেশ কিছু জানা-অজানা তথ্য পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো৷

 

১) মহারাষ্ট্রের মারাঠি পরিবারে জন্ম নেয়া শচীনের নাম রাখা হয়েছিল বিখ্যাত বাঙালি সুরকরা শচীন দেব বর্মণের নামেই৷ শচীনের বাবা রমেশ তেন্ডুলকার এই নাম দিয়েছিলেন৷

 

২) গান শুনতে বরাবরই ভালোবাসেন মাস্টার৷ লতা মঙ্গেশকর ও কিশোর কুমারের অন্ধভক্ত শচীন৷ সত্তর দশকের বিখ্যাত রক ব্যান্ড ডায়ার স্ট্রেটসের গানও নিজের আইপডে রাখেন তিনি৷

 

৩) ক্রিকেটের বাইরে টেনিস শচীনের অত্যন্ত পছন্দের খেলা৷ টেনিস কিংবদন্তি জন ম্যাকেনরোর মতো হেয়ার স্টাইলও করেছিলেন শচীন৷

 

৪) গাড়ির প্রতি শচীনের ভালোবাসার কথা অনেকেই জানেন৷ মাস্টারের জীবনের প্রথম গাড়ি ছিল মারুতি এইট হান্ড্রেড৷ আজও তার গ্যারেজে সেই গাড়ি শোভা পায়৷

 

৫) ১৯৯০-এ জীবনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন শচীন৷ ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়ার জন্য তাঁকে একটি শ্যাম্পেনের বোতল দেয়া হয়েছিল৷ আঠারো বছর না হওয়ায় শচীন সেই শ্যাম্পেনের বোতল খোলেননি পর্যন্ত৷ শচীনের কন্যা সারার প্রথম জন্মদিনে শচীন সেই বোতল খুলেছিলেন৷ ১৯৯৮-এ এক বছরে পা দিয়েছিল সারা৷ অর্থাৎ আট বছর বোতলটা যত্নে রেখে দিয়েছিলেন মাস্টার৷

 

৬) শচীন তেন্ডুলকার খ্যাতির বিড়ম্বনা কী জিনিস তা বুঝেছিলেন ১৯৯৫-এ৷ মণি রত্নমের বিখ্যাত ছবি রোজা দেখতে গিয়েছিলেন ছদ্মবেশে৷ কিন্তু ধরাও পরে গিয়েছিলেন তিনি৷ ২০০৩-এ ‘স্টাম্পড’ ছবিতে শচীন প্রথম অতিথি শিল্পীর ভূমিকায় পর্দায় হাজির হয়েছিলেন৷

 

৭) শচীনের কিন্তু দু’হাতই সমান তালে চলে৷ ডান হাতে ব্যাট করলেও লেখেন বাঁ-হাতেই৷ অনেকটা অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, টম ক্রুস, জিমি হেনরিক্স ও রাফায়েল নাদালের মতোই তিনি৷

 

৮) শচীন প্রথম ক্রীড়াব্যক্তিত্ব যিনি অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত না হয়েও ভারতীয় বায়ু সেনার সম্মানীয় গ্রুপ ক্যাপ্টেন হয়েছিলেন৷

 

৯) আপনালয় এনজিও’র মাধ্যমে প্রতিবছর ২০০ জন পিছিয়ে পড়া শিশুদের দেখভাল করেন তিনি৷

 

১০) ‘ব্যান্ড-এড’-এর বিজ্ঞাপনে প্রথমবার তাকে দেখা গিয়েছিল৷ কিন্তু শচীন কোনোদিনই মদের কোম্পানির বিজ্ঞাপন করেননি৷

 

১১) শচীন বরবারই চাইতেন টেনিস খেলোয়াড় হতে৷ কিন্ত শচীন একবার গাছে উঠতে গিয়ে পড়ে যান৷ তার দাদা অজিত তেন্ডুলকার শচীনকে শাস্তি দেয়ার জন্য ক্রিকেট ক্যাম্পে ভর্তি করে দেন৷ অজিতের এ সিদ্ধান্তের জন্যই শচীনকে পেল ক্রীড়াবিশ্ব৷

 

১২) শচীন খেতে ও খাওয়াতে দারুণ ভালোবাসেন৷ শচীন একবার জানিয়েছিলেন যে, মহারাষ্ট্রের বিখ্যাত বারাপাও দেখলে নিজেকে সামলাতে পারেন না৷ চিংড়ি মাছের পদ তার হাতে আলাদা স্বাদ পায়৷ কিন্তু এ বছরের শুরুতে বেগুন ভর্তা রান্না করে ৪৫ জন বন্ধুকে খাইয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি৷

 

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*