কাঠমাণ্ডু ।। নেপালের ভূমিকম্পের জেরে এভারেস্টে ভয়াবহ তুষারধস৷ প্রায় নিশ্চিহ্ন বেসক্যাম্প৷ ১ ও ২ নম্বর বেসক্যাম্প থেকে উদ্ধার ১৮ জনের দেহ৷ তবে, নিরাপদেই রয়েছেন বাঙালি পর্বতারোহীরা৷
ভূপৃষ্ঠের বুকে জেগে ওঠা দুঃস্বপ্ন, হঠাত্৷ নেপালের বুক চিরে কালান্তক ভূমিকম্প৷ সেই কম্পনের রেশ গিয়ে পৌঁছল বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গেও৷ মাউন্ট এভারেস্ট৷ সমতলের মতই কাঁপল পাহাড়৷ ভূমিকম্পের জেরে ভয়ঙ্কর তুষারধস৷ বরফ-কণায় ঢাকা পড়ল পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ৷ ঢেকে গেল এভারেস্টজয়ের স্বপ্নও, হয়তো৷ বিপর্যয়ের বলি বেশ কয়েকজন৷ কোনওরকমে প্রাণ হাতে নিয়ে বাঁচলেন ১২ জনের বাঙালি অভিযাত্রীদল৷
১৪ এপ্রিল এভারেস্ট শৃঙ্গ জয়ের উদ্দেশে রওনা দেন বাঙালি ও অভিযাত্রীদল৷ ওই দলে রয়েছেন,
সত্যরূপ সিদ্ধান্ত, দেবরাজ দত্ত, সুনীতা হাজরা, মলয় মুখোপাধ্যায়, রূদ্র প্রসাদ হালদার, চেতনা সাউ, প্রদীপ সাউ, গৌতম ঘোষ, লিপিকা বিশ্বাস, রমেশ রায়, , সৌরভ সিঞ্চন মণ্ডল ও জ্যোত্স্না শেঠ
কুম্ভ হিমবাহের ১৭ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় এভারেস্টের বেসক্যাম্প৷ সেখানে আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন অভিযাত্রী৷ সত্যরূপ-সহ ৫ পর্বতারোহী এদিন ছিলেন বেসক্যাম্পেরই ঠিক পাশে গোরখশেপে৷ চলছিল মধ্যাহ্নভোজন৷ হঠাত্ই পাহাড়বেয়ে নেমে আসা মূর্তিমান আতঙ্ক৷ তুষারধস৷ বরফের গুঁড়োয় ঢেকে যাওয়া আকাশ৷ বিপর্যয়ের কোপে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা নিসর্গ৷ গোরখশেপ এলাকা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি৷ কিন্তু, প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেসক্যাম্প৷ ১ ও ২ নম্বর বেসক্যাম্পে মৃত্যুদূত হয়ে দেখা হয় বরফ-ধস৷ সেখান থেকে বেশ কয়েকজন পর্বতারোহীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ জখমের সংখ্যাও বহু৷ তবে, অল্পের জন্য রক্ষা পান বাঙালি অভিযাত্রীরা৷
বাংলা ও অসমের অভিযাত্রীদল নিরাপদেই আছে বলে জানিয়েছেন সত্যরূপ সিদ্ধান্ত৷ পৃথিবীর ৭ টি শৃঙ্গের মধ্যে চারটি জয় করার অসামান্য কৃতিত্ব রয়েছে সত্যরূপের৷ অভিযাত্রীদলে রয়েছেন দেবরাজ দত্তও৷ তবে, তিনি সুস্থ ও নিরাপদ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিবারকে৷ আকস্মিক৷ ভয়ঙ্কর৷ মর্মান্তিক৷ নেপালের ভূমিকম্প কেড়ে নিয়েছে বহু প্রাণ৷ গুঁড়িয়ে দিয়েছে শৃঙ্গজয়ের স্বপ্নও৷ ছন্দা গায়েনের মর্মান্তিক পরিণতির স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়ে গেল শনিবারের বিপর্যয়৷