কাঠ বোঝাই গাড়ি আটক করলো পুলিশ

সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ১৫ ফেব্রুয়ারী || কাঠ বোঝাই তিনটি গাড়ি আটক করে দুই গাড়ি টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিল মুঙ্গীয়াকামি থানার পুলিশ। টাক দিতে না পারায় এক গাড়ি আটক করে রাখল পুলিশ। এমন অভিযোগ উঠল মুঙ্গীয়াকামি থানার বিরুদ্ধে।
ঘটনা বুধবার রাতে মুঙ্গীয়াকামি থান এলাকায় ৪১ মাইল জাতীয় সড়কে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে মুঙ্গীয়াকামি থানার পুলিশ কাঠ বোঝাই করা তিনটি গাড়ি আটক করে। এর মধ্যে দুইটি গাড়ির সঙ্গে নগদ নারায়ণের রফা হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু এর মধ্যে একটি গাড়ির চালক টাকা দিতে অসামর্থ হলে সেই গাড়িটি আটক করে রাখে বলে অভিযোগ আটক হওয়া গাড়িতে থাকা শ্রমিকদের। পরে আটক করা গাড়িকে বন দপ্তরের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয় মুঙ্গীয়াকামি থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য,থানার সাথে রফা করে দীর্ঘদিন যাবৎ এভাবে অবৈধ কাঠের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়টি থানার বড়বাবুর জ্ঞাত সাড়াই চলছে বলেই সুত্রের খবর। এক্ষেত্রে যে সকল গাড়ি নগদ নারায়ণের রফা করেনা বা করতে পারেনা সেই গাড়িই আটক করে রাখে পুলিশ এবং পরবর্তী সময়ে বন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এভাবেই চুরা কারবারি রা দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেদের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে আর বন উজার হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনটাই বিভিন্ন মহলের মন্তব্য। এদিকে থানা সুত্রে খবর, থানার পিজুষ দেববর্মা নামে এক কনস্টেবলকে নাকি থানার বড়বাবু এই মাসকি চালানোর দ্বায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। আর পিজুষ কনস্টেবল মাসোহারার ভিত্তিতে গাড়ি পাচার করে থাকেন।
এদিকে মুঙ্গীয়াকামি থানার বড়বাবুর কাছে রাতের গাড়ি আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, একটি গাড়ি আটক করার বিষয়ে বলেন। আর বাকী দুই গাড়ির সম্পর্কে কিছু উনার বক্তব্যে উল্লেখ করেন নি। তবে কি বড় বাবুর অজ্ঞাত সারেই পিজুষ কনস্টেবল নিজেয় অবৈধ কামাই চালিয়ে যাচ্ছে, এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা যায়, আটক করা তিন জন হল বাগান বাজারের শ্যামল সরকার, জগন্নাথ গিরি এবং উত্তর মহারানী পুরের বিজয় কুমার দেববর্মা।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*