আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ মার্চ || কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবনায় ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানাতে উদ্যোগ নিয়েছে প্রস্তাবিত ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এই উপলক্ষ্যে রাজধানীর কলেজ ক্যাপাসে ‘বসন্ত উৎসব’ – এর আয়োজন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষ থেকে ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানিয়ে বসন্ত উৎসব পালনের জন্য সোমবার মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গন থেকে সকাল ৯ টায় বর্ণাঢ্য প্রভাত ফেরীর মাধ্যমে এই উৎসবের সূচনা হয়। এখানে গোলা রং নয়, আবীর ও ভেষজ আবীর নিয়েই রঙের উৎসব পালন করা হয়। সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠানের ডালিতে সাজানো হয়েছে এই বসন্ত উৎসব।
কলেজ সুত্রে জানা গেছে, স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন বসন্ত উৎসবে অংশ নিয়েছে। সেই সঙ্গে কলেজ সংলগ্ন গ্রামের মানুষেরা এই উৎসবে যোগ দিয়েছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, স্থানীয় প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের সাথে আলোচনা করে পৌষ মাসের ৭ থেকে ১০ই পৌষ স্থানীয় হস্তশিল্প ও হস্তশিল্পীদের উৎসাহ দিতে তাদের নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরেই ‘ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেলা’-র আয়োজন করার পরিকল্পনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উত্তর পূর্ব ভারতের উন্নয়নে নীতি আয়োগের ভাবনার উপর দাঁড়িয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই পঠন-পাঠন শুরুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, ত্রিপুরার রানীখামার মধুবনে গড়ে ওঠা প্রস্তাবিত ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজে। কর্তৃপক্ষের দাবি NMC থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি পেলেই ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই প্রস্তাবিত ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস’র পঠনপাঠন শুরু হয়ে যাবে।
কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ত্রিপুরা নলেজ সিটির অংশ হিসাবে দুটি পর্যায়ে এখানে এই কাজ হবে। প্রথম পর্যায়ে থাকবে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অর্থাৎ হেলথ এডুকেশন সংক্রান্ত নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও একটি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে রাজ্য সরকারের সাথে সহমতের ভিত্তিতে এখানে অনান্য নানা বিষয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন ম্যানেজমেন্ট কলেজ, আইন কলেজ সহ অনান্য কলেজ গড়ে তোলা হবে।
প্রস্তাবিত ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ত্রিপুরা কেন্দ্রিক যুবক-যুবতীদের কাজের সুযোগ করে দেবার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর জন্য শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের মাল্টিস্কিল করে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে পাঁচ হাজার যুবক-যুবতীকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে এই কাজের যোগ্য করে গড়ে তোলা হবে। স্থানীয় পঞ্চায়েত, প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দুই হাজারেরও বেশি যুবক-যুবতীর কাজের সুযোগ তৈরি হবে এই ত্রিপুরা নলেজ সিটি ও প্রস্তাবিত ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বলে জানা যায়।