আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। নেপালে ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার মানুষের। ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ। ২৫ তারিখ ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল গোটা নেপাল। ধ্বংস হয়েছে ঐতিহ্যের ধরহরা মিনার। সেই ধ্বংসের মাঝেই জন্ম নিল নবজাতক। ইট, বালি, সিমেন্ট আর হাজার হাজার মানুষের মৃত দেহ, লাশ কাটা ঘরের হাহাকারকে ছাপিয়ে হঠাৎ শোনা গেল মৃদু কান্না। সদ্যজাতের কান্না। ১৯ বছরের লতা চন্দ জন্ম দিয়েছে তাদের প্রথম সন্তান। নবজাতক ও মা দুজনেই এখন সুস্থ রয়েছেন।
সেদিন রিখটার স্কেলে কম্পাঙ্কের মাত্রা ছিল ৭.৯। গর্ভবতী লতা ভয়ে বেরিয়ে এসছিলেন নিজের ঘর থেকে। আর ঘরে ফেরা হয়নি। হাসপাতালে গিয়েছিলেন, কিন্তু হাজার হাজার আহতের মাঝে জায়গা পাননি সে। শেষ পর্যন্ত ভ্রাম্যমান হাসপাতালে নিজেদের ঠাই খুজে পেলেন নেপালের ওই দম্পতি। আর ওই ভ্রাম্যমান হাসপাতালেই জন্ম নিল ফুটেফুটে নবজাতক। ভয়ে গর্ভপাত হয়ে যাওয়ার ভয় পেয়েছিলেন লতা ও তাঁর স্বামী হারিন্দার চন্দ। ভূমিকম্পে নিজেদের মৃত্যুর ভয়ের থেকেও বেশি ভয় ছিল গর্ভের সন্তান হারানোর। কিন্তু এই ভয়কে কাটিয়ে তাঁরা জন্ম দিল এক নতুন জীবনের। ধ্বংসের মধ্যেই জন্ম নিল নতুন ভবিষ্যৎ।