সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ১২ মে || একশ্রেণীর বনদস্যুদের উন্মুক্ত তান্ডবের ফলে ক্রমেই ধ্বংসের পথে আঠারোমুড়া এবং বড়মুড়া পাহাড় সহ পাহাড় লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকা। আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশ দিয়ে অবস্থিত বড়মুড়া পাহাড়, আঠাড়োমুড়া পাহাড় এবং পাহাড় লাগুয়া বিস্তীর্ণ এলাকা গুলিতে প্রাকৃতির সৌন্দর্য একপ্রকার বিলুপ্তির পথে রয়েছে বলা চলে। একাংশ বনদস্যুরা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য রাতের আঁধারে এবং প্রকাশ্যে দিনের আলোতে নির্ভিগ্নে বন ধ্বংস করে চলেছেন। অনেক জায়গায় দেখা যায় বনদস্যুরা প্রকাশ্যে দিনের আলোতেই বনের গাছ আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে এই গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহে নাজেহাল হতে হচ্ছে জনজীবন। তার পাশাপাশি প্রাকৃতির ভারসাম্য যেমন বিনষ্ট হচ্ছে, তেমনি একাংশ বন্যপ্রাণীদের বাসস্থান হারিয়ে তাদের অস্তিত্বও একপ্রকার হারিয়ে যাচ্ছে এবং কিছু কিছু প্রাণী লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এইসব ঘটনা প্রকৃতি প্রেমী বিভিন্ন সংস্থা এবং বনদপ্তর সহ প্রশাসনের আধিকারিকদের নজর এরিয়ে চলছে এমন কিছু নয়, সবকিছু সকলের সামনেই হচ্ছে। কিন্তু সবকিছু জেনে এবং দেখে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করেছেন বন দপ্তর সহ প্রশাসনিক স্থরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
অন্যদিকে তেলিয়ামুড়া মহকুমা বন দপ্তর সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রকাশ, কিছু কিছু বনদস্যুরা এই বন ধ্বংস লীলা অব্যাহত রাখতে মাসে মাসে ক্ষোদ রেঞ্জার বাবু থেকে শুরু করে বন দপ্তরের আধিকারিকদের নগদ নারায়ন দিয়ে পকেট ভরিয়ে রাখছেন। যার ফলে সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করে চলেছেন বনদপ্তরের করমীরা।
অন্যদিকে, বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যের বন বিভাগের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা তথা রাজ্য সরকারের বর্তমান মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা। এখন এটাও দেখার বিষয় প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখার লক্ষ্যে বন ধ্বংস রোধ করতে বনদস্যুদের বিরুদ্ধে মন্ত্রী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন কিনা নাকি মন্ত্রীর দপ্তরের একাংশ কর্মীরা নিজেদের পকেট ভরার স্বার্থে এই সব বনদস্যুদের মদত দিতে অব্যাহত থাকেন।