সুব্রত দাস, গন্ডাছড়া, ২৫ জুলাই || রাজ্যের উচ্চ আদালতের মাননীয় বিচারকের নির্দেশকে সম্মান জানিয়ে গন্ডাছড়া মহকুমার বিভিন্ন স্থানে চলছে নেশা বিরোধী সেমিনার। প্রতিটি সেমিনারে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার অন্তর্গত পাখিত্রিপুরা পাড়ার বাসিন্দা জীবনজয় ত্রিপুরা এবং সেলেনজয় ত্রিপুরা হিরোইন সহ বিরগঞ্জ থানাধিন থালছড়ায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা গ্রহণ করে আদালতে সোপার্দ করে বিরগঞ্জ থানার পুলিশ। জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করে অভিযুক্ত জীবনজয় ত্রিপুরা এবং সেলেনজয় ত্রিপুরার পরিবারের লোকজন। জামিনের এই রিট পিটিশনের উপর শুনানীকালে এক যোগান্তকারী রায় প্রদান করেন উচ্চ আদালতের মাননীয় বিচারপতি অরিন্দম লোধ। এই রায়ে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলিতে ড্রাগস বিরোধী বা নেশা বিরোধী সেমিনার করে প্রচার করে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া জানতে হবে। এটা ছিল সাম্প্রতিকালের উচ্চ আদালতের যুগান্তকারী রায়। আদালতের এই রায়কে সম্মান জানিয়ে অভিযুক্ত জীবনজয় ত্রিপুরা এবং সেলেনজয় ত্রিপুরার পরিবারের পক্ষ থেকে গত বেশ কিছুদিন যাবৎ গন্ডাছড়া মহকুমার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলিতে সাধারণ মানুষজন পুলিশ মহকুমা প্রশাসনের সহযোগীতায় নেশা বিরোধী সেমিনার সংগঠিত করে চলেছে। গত পনেরো দিনে মহকুমার পাখিত্রিপুরা পাড়া, মনোরঞ্জনদাস পাড়া বাজার, রতননগর বাজার, পূর্ণরাম পাড়া, মগপাড়া, পঞ্চরতন বাজার এবং বুধবার প্রত্যন্ত মহকুমার রতনমনি পাড়া দ্বাদশমান বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় নেশা বিরোধী সেমিনার।
এদিন সকাল দশটায় রতনমনি পাড়া দ্বাদশমান বিদ্যালয়ে এই এন্টি ড্রাগস ক্যাম্পেইনের শুভ সূচনা করেন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক পোস্টবাহাদুর ছেত্রী। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, গ্রামবাসী, শিক্ষক অশিক্ষক সহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত জীবনজয় ত্রিপুরা এবং সেলেনজয় ত্রিপুরার পারিবারিক সদস্যরা। উক্ত অনুষ্ঠানে মাদক, ড্রাগস সহ সর্ব প্রকার নেশার বিরুদ্ধে জোরালো আওয়াজ তুলে বক্তব্য রাখেন বক্তারা।
জীবনজয় ত্রিপুরা এবং সেলেনজয় ত্রিপুরার পারিবারিক সদস্যদের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিটি নেশা বিরোধী সেমিনারে ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়। অভিযুক্ত জীবনজয় ত্রিপুরা এবং সেলেনজয় ত্রিপরার স্ত্রী যথাক্রমে মোনা ত্রিপুরা এবং নবীনরানী ত্রিপুরা প্রতিটি সেমিনারে কর জোড়ে মারণ ব্যাধি যেকোন নেশা থেকে সকলকে দূরে থেকে নিজে বাঁচুন সমাজ ও যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য আবেদন রাখেন।