বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার আহবান বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ত্রিপুরা প্রান্তের

আপডেট প্রতিনিধি, আগরতলা, ০৯ আগস্ট || ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ এক বিচিত্র অনিশ্চিয়তা, হিংসা এবং অরাজগতার মধ্যে ফেঁসে আছে। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্যাগপত্র এবং ওনার দেশ ছাড়ার পর অন্তরিম সরকার গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংকটের এই সময় ভারতবর্ষ দৃঢ়তার সাথে বাংলাদেশের সমস্ত সমাজের পাশে এক বন্ধুর ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে।
বিগত কিছু সময়ে বাংলাদেশে হিন্দু, শিখ এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ধার্মিক স্থান, ব্যবসা-বানিজ্যের প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। পঞ্চগড় জেলায় ২২টি বাড়ি, ঝিনেদাহতে ২০টি বাড়ি ও জসোরে ২২টি দোকান মৌলবাদীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক জেলায় তো শ্বশানঘাট পর্যন্ত ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। মন্দির এবং গুরুদ্বারগুলিরও ক্ষতি করা হয়েছে। বাংলাদেশে এমন কোন জেলাই হয়তো নেই যা তাদের হিংসা ও আতঙ্কের শিকার হয়নি। কোনো সময় বাংলাদেশে হিন্দুরা ৩২% ছিল কিন্তু বর্তমানে তা ৮% এরও কম হয়ে গেছে, আর তারাও প্রতিনিয়ত মৌলবাদীদের উৎপীড়নের স্বীকার হচ্ছে।
বাংলাদেশে হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, দোকান, অফিস, ব্যবসা-বানিজ্যের প্রতিষ্ঠান, মহিলা, শিশু এবং তাদের আস্থা ও বিশ্বাসের কেন্দ্র মন্দির ও গুরুদ্বার পর্যন্ত সুরক্ষিত নেই। এমনটাও বলা যেতে পারে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা খারাপ থেকে আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থতি চিন্তাজনক।
এমন সময় বিশ্ব সমুদায়ের এটা কর্তব্য যে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা।
বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতিতে ভারত নিশ্চই চোখ বন্ধ করে থাকতে পারবে না। ভারত চিরাচরিতই বিশ্বের উৎপিরীত সমাজের সাহায্য করেছে। শুক্রবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলন করে ভারত সরকারের কাছে আগ্রহ করে যে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার ব্যপারে যথাসম্ভব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
এদিন তারা বলেন, এটাও হতে পারে পরিস্থিতির সুবিধা নিয়ে সীমা পার হয়ে অনুপ্রবেশ করার চেষ্ঠা করতে পারে। এটা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। তার জন্য এটা আবশ্যক যে আমাদের সীমান্তরক্ষীরা সীমান্তে কড়া নজর রাখবে যেন কোন রকমের অতিক্রমন না হয়। আমরা আশা করব বাংলাদেশে যেন খুব দ্রুত লোকতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সরকার পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয়। সেখানকার সমাজে যেন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বাংলাদেশের প্রতিনিয়ত হওয়া আর্থিক প্রগতিতে যেন কোন বাধা না আসে। ভারতবর্ষের সমাজ এবং সরকার এই বিষয়ে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের মিত্র হয়ে থাকবে বলে আশা ব্যক্ত করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ত্রিপুরা প্রান্তের প্রচার প্রমুখ সৌরভ কান্তি দাস।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*