পাকা ব্রীজের অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোয়াই নদী পারাপার করছে স্কুল পড়ুয়া সহ গ্রামবাসীরা

nv nগোপাল সিং, খোয়াই, ১৩ মে ।। সরকারী ব্যবস্থাপনায় সরকারী নৌকা থাকার বিধান থাকলেও খোয়াইয়ের উত্তর রামচন্দ্রঘাট পঞ্চায়েতের সেওরাতলী ঘাটে গত এক সপ্তাহে আট থেকে দশবার বাঁশের ভেলা নদীর জলে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় আহত হয়েছে স্কুল পড়ুয়া, মহিলা সহ কমপক্ষে দশ-বারোজন। বুধবার সকালেও ভেলায় চড়ে নদী পারাপার করতে গিয়ে নদীর জলে পড়ে যায় খোয়াইয়ের দুই কেবল অপারেটর। কোনও ক্রমে প্রাণ নিয়ে ফিরেন দুজনে। নৌকা নেই, তাই বাঁশের ভেলাই একমাত্র ভরসা নদী পারপারের। দু’দিন পূর্বেও বাঁশের ভেলাতে চড়ে নদী পারাপার করতে গিয়ে খোয়াই অজগরটিলা স্থিত ভারত সেবা আশ্রম সংঘের একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র জয় শুক্ল দাস নদীতে পড়ে যায়। প্রশাসনিক গাফিলতির ফলেই দিনের পর দিন এধরনের দূর্ঘটানর কবলে পড়ছেন গ্রামবাসীরা। একজন গ্রামবাসী জানালেন, পুরুষদের তুলনায় জীবনের ঝুঁকি বেশী মহিলাদের। কারন হাঁটু অবধি শাড়ি-কাপর পড়ে নদীর জলে পড়ে গেলে বাঁচার পথ খোলা থাকেনা। তাছাড়া এভাবে নদীর জলে পড়ে গিয়ে মহিলার মৃত্যুর মতো ঘটনাও প্রত্যক্ষ করেছে স্থানীয়রা। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করতে অনীহা থাকলেও পড়াশুনা, রুটি-রোজির প্রশ্নে তা করতে হচ্ছে বলেও জানালেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। এদিকে নদীর উপর ব্রীজ নির্মানের কাজ ২০১০ এ শুরু হয়েও বিগত দু’বছর যাবত নির্মান কাজ থেমে আছে। কিন্তু ব্রীজ নির্মানের কাজ এবং আপাতত একটি নৌকার ব্যবস্থা করা সহ যাবতীয় উদ্যোগের ক্ষেত্রে স্থানীয় পঞ্চায়েত ভূমিকাহীন। কামিনি পাড়া, রামচন্দ্রঘাট, ধূপছড়া, লালটিলা ও সেওরাতলির শত শত মানুষ প্রতিদিন ধুঁকছে নদী পারাপার করতে গিয়ে। ঐসব এলাকার মানুষজন প্রশাসনের উপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। সরকার ও প্রশাসন কি উদ্যোগ নেয়, এখন সেটাই দেখার।

FacebookTwitterGoogle+Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*