সাগর দেব, তেলিয়ামুড়া, ১৮ আগস্ট || রাতের আঁধারে তেলিয়ামুড়া থানার অন্তর্গত পশ্চিম হাওয়াইবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে রুমহর্ষক ডাকাতির ঘটনা! এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একই পরিবারের তিন তিন জন রক্তাক্ত এবং আহত হয়েছে, সেই সাথে বাড়ির স্বর্ণালঙ্কার থেকে শুরু করে নগদ অর্থ এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ গৃহকর্তার।
গৃহকর্তার অভিযোগ মূলে খবরে প্রকাশ, শুক্রবার রাত আনুমানিক দুই’টা নাগাদ মুখ বাঁধা অবস্থায় হাফপ্যান্ট এবং গেঞ্জি পরিহিত ১০ থেকে ১২ জনের দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে ডাকাত দল এই এলাকার সব্জি বিক্রেতা এবং লেবু চাষি কৃষ্ণধন দাসের বাড়িতে হানা দেয়। সেই সময় ডাকাতের দল কৃষ্ণধন দাস সহ উনার স্ত্রী এবং ছোট ছেলে’কে হাত-পা এবং মুখে বেঁধে রেখে ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার সহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যায় এবং বেশ কিছু সামগ্রী লন্ড ভন্ড করে। সেই সঙ্গে বাড়ির তিন তিনটি মোবাইল ফোনও নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হচ্ছে ডাকাতির কাজ শেষ করে যাওয়ার সময় কাঁথা, কম্বল ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস দিয়ে গৃহকর্তা সহ অন্যান্যদের ঢেকে রেখে যায়। পরবর্তী সময়ে বাড়ির মানুষের চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকার মানুষজন জড়ো হয় এবং খবর দেওয়া হয় তেলিয়ামুড়া থানায়। তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের চিকিৎসা করা হয়। গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একদিকে যেমন ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ঠিক এর পাশাপাশি এভাবে জাতীয় সড়ক সন্নিহিত জনবহুল এলাকায় ডাকাতির ঘটনা রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি করেছে।
যদিও পুলিশের দাবি অনুযায়ী ঘটনার তদন্ত চলছে, এরপরেও সাধারণ মানুষ গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছেন এবং পাশাপাশি এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে গোটা তেলিয়ামুড়া জুড়ে রীতিমতো আতঙ্ক-জনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।